খুলতে দেরি, পড়াশোনা হয় না, পুষ্টিকর খাবার মেলে না- খতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রশাসনের
দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: ছেলে-মেয়েরা চলে আসে। কিন্তু শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের তালা খোলে না নির্দিষ্ট সময়ে। কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটালপুকুরের শিশু শিক্ষাকেন্দ্র নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠেছে। প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ৫ টি ক্লাসে ১৪ জন পড়ুয়া রয়েছে। সরকারি ভাবে স্কুল খোলার সময় সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে। সেখানে এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক-শিক্ষিকা আসেন সাড়ে এগারোটার পর, এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। পড়াশোনা ঠিকমতো হয় না, পুষ্টিকর খাবার ঠিকমতো মেলে না, এমন অভিযোগ গ্রামবাসীদের। দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
কোটালপুকুরের শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ৫ টি ক্লাসে রয়েছে ১৪জন পড়ুয়া। রয়েছেন একজন শিক্ষক, একজন সহ শিক্ষিকা। সরকারি ভাবে স্কুল খোলার সময় সকাল ১০ টা ৫০ মিনিট। সেখানে এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক আর শিক্ষিকা আসেন সাড়ে এগারোটার পর, এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। বুধবার অবশ্য প্রধান শিক্ষক বিশ্বেশ্বর পাল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছান ১১টা ১৫মিনিটে। সহ শিক্ষিকা পৌঁছান ১১টা ৩৫মিনিটে।
( BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
অভিভাবক মালা বাউরি বলেন, “কোনও দিন সাড়ে ১১ টা আবার কোনও দিন ১২টায় শিশু শিক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়। আমরা চাইছি নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষা কেন্দ্র খোলা হোক, বাচ্চাদের ঠিকমতো পড়ানো হোক। পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হোক।” তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া ব্রতী বাউরির কথায়, “স্কুলে পড়াশোনা হয় না। শিক্ষকেরা ফোন দেখেন। পড়ানোর কথা বলা হলে বলেন, একটু অপেক্ষা করতে। মিড ডে মিলেও ভাল করে খাবার দেওয়া হয় না।” যদিও প্রধান শিক্ষক বিশ্বেশ্বর পাল বলেন, “মেয়েকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেইজন্য দেরি হয়েছে আসতে। অন্যদিন ১১টার আগেই পৌঁছে যাই।” শিক্ষিকা রেখা দে বলেন, “মাঝপথে সাইকেল খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে একটু দেরি হয়েছে। যারা অভিযোগ করছে, তারা ঘড়ি দেখতে জানে না।” দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।