পা দিয়ে লিখেই মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে গেল সীমা মাড্ডি

দুর্গাপুর দর্পণ, বুদবুদ: জন্ম থেকেই দুই হাত সরে না। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার বুদবুদ থানার মানকরের খান্ডারিডাঙার আদিবাসী পরিবারের মেয়ে সীমা মাড্ডি পায়ে লিখেই মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে গেল। তাঁর এই সাফল্যে খুশির হাওয়া মানকর গার্লস হাইস্কুলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্ম থেকে সীমার দুই হাত অসার ছিল। পা দুটিও পুরোপুরি কাজ করত না। তবে দুই পা ভরসা করেই এগোতে থাকে সীমা। পড়াশোনায় আগ্রহ ছিল ছোট থেকেই। খান্ডারি ডাঙা নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয়। সেখানকার শিক্ষক তরুণ ঘোষ জানান, শারীরিক সমস্যার জন্য প্রথম প্রথম লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হত না সীমার। মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তার মূল্যায়ন করা হত।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
তিনি বলেন, “দেখলাম, ও পায়ের সাহায্যে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে। প্রথমে পায়ে চক দিয়ে মেঝেতে ছবি আঁকা শেখানো হয়। এরপর বর্ণমালা শেখানো হয়। তারপর খাতায় লেখা শেখানো হয়।” তিনি জানান, পায়ের দুই আঙুল দিয়ে পেন ধরে লেখালেখি করে সীমা। সেভাবেই এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। ২৩২ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে সে। মানকর গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীনা মন্ডল বলেন, “শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে যেভাবে সীমা এগিয়ে চলেছে, তা সবার কাছে অনুপ্রেরণার।”
সীমার বাবা বুধি দিনমজুরি করে সংসার চালান। চার মেয়ের মধ্যে সীমা দ্বিতীয়। প্রথম প্রথম সীমার শারীরিক অবস্থা দেখে মুষড়ে থাকতেন বুধি। তবে মেয়ের অদম্য জেদ দেখে বুঝতে পারেন, মেয়ে থেমে থাকবে না। এখন মেয়ের সাফল্যে সব কষ্ট ঘুচে গিয়েছে। তিনি বলেন, “সীমা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে ভাল হয়।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)

