দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: প্রায় ২৫ বছর ধরে চায়ের দোকান ছিল। ডিএসপি উচ্ছেদের নোটিস দেয়। মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টির মধ্যেই দোকান সরাতে গিয়েছিলেন দোকান মালিক। তখন দেওয়াল ভেঙে পড়ে তাঁর উপর। মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর থানার খোলা মার্কেট এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম সমীর চক্রবর্তী (৪৬)। বাড়ি দুর্গাপুর থানার ধোবিঘাটে।
দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর জখম হন সমীরবাবু। তাঁকে দুর্গাপুরের শোভাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এরপর সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই কিছুক্ষণ পরে মৃত্যু হয় তাঁর। দেহ নিয়ে থানায় যায় পরিবার। তাঁর ছেলে বাবলু চক্রবর্তীর দাবি, পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে। উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষকে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
বাবলু বলেন, “মঙ্গলবার সকালে দোকান ভাঙছিলেন বাবা। তখনই হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে ইটের দেওয়াল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শোভাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভর্তি নেওয়া হয়নি। তারপর সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়। তারপরেই মৃত্যু হয় বাবার। আমাদের দাবি পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে। এইভাবে উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষকে।”
তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “আমরা খবর পাওয়া মাত্রই পৌঁছেছিলাম। পরিবারের পাশে থাকব। দলের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করছেন কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছেন না। উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়ার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সমীরবাবু। সারারাত ঘুমোতে পারেননি। মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টির মধ্যেও দোকান সরাতে যান যাতে ইট বা অন্য সামগ্রী পরে কাজে লাগানো যায়। তখনই পাঁচিল চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। উচ্ছেদ বন্ধ করার দাবিতে আমরা ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করছি। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে সমীরবাবুর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবি করছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।