দুর্গাপুর দর্পণ, ৫ জুলাই ২০২৪: ছেলে-বৌমা, মেয়ে কেউ জায়গা দিল না বৃদ্ধা মাকে। গাছতলায় কাটল রাত। অমানবিক ঘটনা পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের উখড়ায়। বেশ কিছুদিন ধরে মেয়ের কাছে ছিলেন বৃদ্ধা মায়া রানী বাগদি। বৃহস্পতিবার মাকে টোটোয় চাপিয়ে সে সোজা নিয়ে গেল দাদার বাড়িতে। বাড়ির সামনের গাছতলায় নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যায় সে। মাকে দেখেও বাড়িতে জায়গা দেয়নি ছেলে-বৌমা। মায়াদেবীর সারা রাত কাটে গাছতলায় চেয়ারে বসে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
শুক্রবার সকালে উখড়ার চনচনি এলাকার এই ঘটনা জানাজানি হতেই শুরু হয় নিন্দার ঝড়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, মায়া রানীর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। দুই ছেলে ইসিএলের কর্মী ছিলেন। এক ছেলে সুবোধ একটি দোকানের কর্মী। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে জামুড়িয়া এলাকায়। কিছুদিন আগে মাকে মেয়ে অঞ্জনা তার শ্বশুরবাড়ি জামুড়িয়ায় নিয়ে যায়।
মায়াদেবীর দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় মেয়ে টোটোতে চাপিয়ে সুবোধের বাড়ির সামনে গাছতলায় একটি চেয়ারে বসিয়ে রেখে চলে যায়। চেয়ারে বসে, না খেয়ে, সারা রাত কাটাতে হয়েছে বলে দাবি তাঁর। বৌমা ভারতীর দাবি, “বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ ননদ আর ভাসুরের মেয়ে মিলে আমাদের বাড়ির বাইরে শাশুড়িকে নামিয়ে চলে যায়। আমাদের বলেও যায়নি, বাড়িতে ঢোকানোর জন্য। সারারাত খায়নি তো কী হয়েছে? আমাদের তো বাড়ি ঢোকানোর জন্য বলেনি ননদ। সেই জন্যই আমরা বাড়িতে ঢুকাইনি।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অন্ডাল থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়িতে থাকার জায়গা পান মায়ারানী। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।