Durgapur News: মোবাইল সরিয়ে রেখে, বিনা টিউশনেই উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে দশম শ্রীপর্ণা

সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: মাধ্যমিকে মাত্র ১ নম্বরের জন্য রাজ্যের মেধা তালিকায় নাম ওঠেনি। উচ্চ মাধ্যমিকে সেই খেদ মিটিয়ে নিল পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের পানশিউলি গ্রামের চাষীর মেয়ে শ্রীপর্ণা মন্ডল। পানশিউলি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল শ্রীপর্ণা। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে সে। বাবা শাম্ব মন্ডলের কাছে পড়াশোনা করেই তার এই সাফল্য।
মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত বাবা, আনন্দে আত্মহারা মা। উচ্ছাস এলাকায়। করোনার সময়ে জীবন বীমার এজেন্টের কাজ হারান সৌম্য। তারপর সংসার চালাতে জমিতে লাঙল ধরেন শাম্ববাবু। তিনি যেমন একজন চাষী, তেমনই এলাকায় গৃহ শিক্ষক হিসাবেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। মাধ্যমিকের পরে একাদশ শ্রেণীতে সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হয় শ্রীপর্ণা। মেয়েকে সাফল্যের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হাল ধরেন বাবা। স্কুলের এক শিক্ষক মাঝে মাঝে শ্রীপর্ণাকে পড়াশোনা দেখিয়ে দিত।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
বুধবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বের হতেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শ্রীপর্ণার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮। বাংলায় ৯১, ইংরেজিতে ৯৯, পদার্থ বিদ্যায় ৯৯, রসায়নে ৯৩, জীববিদ্যায় ৯৭ এবং গণিতে ১০০। শ্রীপর্ণার পরবর্তী লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। গর্বিত এলাকাবাসী। পঞ্চায়েত প্রধান এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষ তাকে সংবর্ধনা দিতে যান। শাম্ব বলেন, “মাধ্যমিকে ১ নম্বরের জন্য মেয়ের দশম স্থান অধিকার করা হয়নি। এলাকার বেশ কিছু মানুষ এবং স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় আমার মেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করেছে। মেয়ে প্রায় ১০ঘণ্টা পড়াশোনা করতো। আমি নিজেও মেয়েকে সময় দিতাম।” শ্রীপর্ণা বলে, “আরেকটু নম্বর পাব আশা ছিল। ৪৯০ নম্বরের উপর হলে আরেকটু ভালো লাগতো। পড়াশোনা ছাড়া ছবি আঁকা আর সিনেমা দেখা পছন্দ করি। আমি চিকিৎসক হতে চাই।” মা অর্চনা মন্ডল বলেন, “মেয়ের সাফল্যে আমরা খুব খুশি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন) #avoidmobile

