দুর্গাপুর দর্পণ, ২৩ জুন ২০২৪: বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) কাঁকসার মিরেপাড়ার বছর ২১ এর যুবক মহম্মদ হাবিবুল্লাকে রবিবার তোলা হল দুর্গাপুর আদালতে। শনিবার রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) তাকে গ্রেফতার করে। জেরার পরে মানকর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র হাবিবুল্লাকে কাঁকসা থানার হাতে তুলে দিয়েছে এসটিএফ।
আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ধারাবাহিক পদক্ষেপের পরে এই সংগঠন নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘শাহাদাত’ গ্রুপ খুলে সদস্য সংগ্রহ সহ অন্যান্য কাজকর্ম পরিচালনা শুরু করে। তাদের মূল উদ্দেশ্য, বাংলাদেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের তথ্য জোগাড় করে বিভিন্ন ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ভুল বুঝিয়ে সংগঠনের সদস্যদের ও নতুন নতুন সদস্য সংগ্রহ করে তাদেরকে বিভিন্ন অপব্যাখ্যা ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে দেশের বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে তাদের খেপিয়ে তোলে।
( Dr. BC Roy Engineering College & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে কাঁকসার ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ‘বিপ’ নামে একটি গোপন মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল হাবিবুল্লার। বাইরে থেকে কারওর বোঝার উপায় ছিল না যে সে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বাড়িতে বাবা, মা ও বোনের সঙ্গে থাকে হাবিবুল্লা। খবর জানাজানি হতেই এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অবাক প্রতিবেশীরা। শ্যামল বাগ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আগে কোনওদিন বুঝতে পারিনি। শনিবার তিনটি গাড়ি এসে ওদের বাড়ির কাছে দাঁড়াতেই সন্দেহ হয়। তারপরেই জঙ্গি যোগের কথা জানতে পারি। একটু ভয় লাগছে বৈকি!”এ বিষয়ে রবিবার বিধায়ক বিজেপির রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের জন্য শান্তির জায়গা। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে তারা সন্ত্রাসবাদীর কাজ করছে। যেখান থেকেই তাদের ধরা হচ্ছে তারা বলছে আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছি। তারা জানে পশ্চিমবঙ্গে থাকলে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ তাদের বিরক্ত করে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ মমতা ব্যানার্জির অধীনে। এখানকার গোয়েন্দা বিভাগ তারই অধীনে। তিনি জানেন না? এইসব জঙ্গিদের আর সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছেন। মদত না দিলে এই ধরনের ঘটনা হয় না। আর এরই নাম এগিয়ে বাংলা।” তৃণমূল নেতৃত্ব অগ্নিমিত্রার অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছে, এই রাজ্যের পুলিশই একের পর এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।