দুর্গাপুর দর্পণ, ২ জুলাই ২০২৪: ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে এই রাজ্যে। সেখানে উল্টো পথে হেঁটে নজির গড়ল পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের অন্ডালের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিঁদুলি এলাকার বাসিন্দারা। ছেলে ধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবারের ঘটনা। আটক যুবকের নাম বুদ্ধদেব পাকড়ে। বছর ৩০ এর যুবকের বাড়ি দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ইছাপুরে।
মঙ্গলবার সকালে তাকে সিঁদুলি এলাকাতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তার চালচলন দেখে ছেলে ধরা বলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। নাম পরিচয় জানতে চাইলে তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। স্থানীয়দের হাত থেকে বাঁচত সে এক সময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয়দের কেউ কেউ তাকে ছেলে ধরা বলে নিশ্চিত হয়ে যান। তাকে আটক করা হয়। খবর দেওয়া হয় অন্ডাল থানার বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
স্থানীয় বাসিন্দা সমরেশ পাল বলেন, রাজ্য জুড়ে ছেলে ধরা গুজবে নিরীহদের গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হচ্ছে। মানুষ নিজেই নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই আমরা এই অপরিচিত ব্যক্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিই। খবর দেওয়া হয় তার আত্মীয়দের। বুদ্ধদেবের বৌদি অনুভা পাকড়ে, প্রতিবেশী অলক গাঙ্গুলীরা জানান, বুদ্ধদেব দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝেমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। সোমবার একই ভাবে সে বাড়ি ছেড়ে পালায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফিরলে বুদ্ধদেবের নিখোঁজের কথা মৌখিকভাবে জানানো হয় স্থানীয় থানাতে।” হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বুদ্ধদেবকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।