সনাতন গড়াই, কাঁকসা, ১০ মে ২০২৪: রাঢ়বঙ্গের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন মন্দির। রাঢ়বঙ্গের ভিতর দিয়েই বয়ে গিয়েছে অজয় নদ। কথিত আছে, সেই নদেই মা গঙ্গা এসে দর্শন দিয়েছিলেন কবি জয়দেবকে। নানান স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে বীরভূম আর বর্ধমানের সংযোগস্থল অজয়ের দুই পাড়ে।
অজয়ের দুই পাড়ের বহু গ্রামে প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আরাধনা হয়। হরিনাম সংকীর্তন আর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর নানান পদ ছড়িয়ে দিতে নানা ধর্মীয় দল গঠিত হয় সেই সময়। সেই সময়ই কাঁকসার বিদবিহারের জঙ্গলমহলের ভিতর গড়ে ওঠে নবগ্রাম। প্রায় ১০০ বছর আগে মাটির মন্দির তৈরি করে গ্রামের দুঃস্থ মানুষজন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর পুজো অর্চনা শুরু করেন। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে ইট কাদার গাঁথনি দিয়ে সংস্কার করা হয় মন্দিরটির। তবে বর্তমানে গ্রামের হাল ফিরেছে। বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাই তাঁরা এগিয়ে এসেছেন। ১০০ বছর পর গ্রামবাসীদের যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর পাকাপোক্ত মন্দির। শুক্রবার সেই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
গ্রামের বাসিন্দা পার্থ রায় বলেন, “সকাল থেকেই গ্রামের সমস্ত মানুষ কলস যাত্রার মাধ্যমে কলসি করে অজয় নদ থেকে জল নিয়ে আসেন। এরপর শুরু হয় হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে রাধা-গোবিন্দের মন্দিরের প্রতিষ্ঠা। দুপুরে প্রায় ২০০০ মানুষের জন্য প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। সন্ধ্যায় বসেছিল বাউল গানের আসর।” অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য লগ্নে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মহাপ্রভুকে শ্রদ্ধা জানালেন গ্রামবাসীরা। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।