দুর্গাপুর দর্পণ, ১৭ মে ২০২৪: শ্রমিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার গোপালপুর শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা। মৃতদেহ আটকে রেখে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্স যায় ঘটনাস্থলে।
এদিন ওই কারখানার পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই শ্রমিকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই ঠিকা শ্রমিকের নাম চন্দন বাউরি (২৮) ও রাম টুডু (৩২)। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের নাম বুলু মাল ও সুরেশ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, নর্দমা তৈরির কাজ চলছিল। আচমকা পাশের পাঁচিল ধসে পড়ে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
দুর্ঘটনার পরে কারখানার ভেতরে ঢুকে মৃতদেহ আটকে রেখে তুমুল বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। পুলিশ এলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ হয়। আইএনটিটিইউসি ব্লক সভাপতি চন্দন রায়কে ঘিরেও বিক্ষোভ হয়।
দুপুর থেকে রাম টুডুর পরিবার ও পরিজনেরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছিলেন। বিকেলে চন্দন বাউরির পরিবারের লোকজন কারখানার গেটের সামনে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন। কারখানার ভেতরে ব্যাপক ইট ছুঁড়তে থাকেন তাঁরা। পুলিশের সাথে দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয়। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার-টেবিল। উত্তপ্ত পরিস্থিতি কারখানায়। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।