দুর্ঘটনায় যুবতী মৃত্যুর তদন্তে অবশেষে ফরেন্সিক টিম এল কাঁকসা থানায়

দুর্গাপুর: সাড়ে তিন দিন হয়ে গেল। গাড়ি দুর্ঘটনায় সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কোনও কিনারা হল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা নাগাদ কাঁকসা থানায় এল ফরেন্সিক দল। দুর্গাপুরের শংকরপুরের আঞ্চলিক ফরেন্সিক দফতর থেকে ছয় সদস্যের ফরেন্সিক দল এসে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাবলু যাদবের সাদা রঙের গাড়ি এবং সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়দের নীল রংয়ের গাড়ি পরিদর্শন করেন। গাড়ি দুটি থেকে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করতে দেখা যায়। ভিডিওগ্রাফিও করা হয়।
রবিবার মাঝ রাতে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের পানাগড়ে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয় হুগলির চুঁচুড়ার যুবতী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী তথা নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রার (২৭)। গাড়ির রেষারেষি থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় দাবি করেন পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী। ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
বুধবার সকালে কাঁকসা থানায় ডেকে পাঠানো হয় সুতন্দ্রার সহকর্মী তথা ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা বর্ধমানের বাসিন্দা মন্টু ঘোষ ও তাঁর দাদাকে। দুপুরে তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। আদালতে মন্টুর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর আবার তাঁদের কাঁকসা থানায় ফিরিয়ে এনে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় কাঁকসা থানায় ডেকে পাঠানো হয় সুতন্দ্রার সহকর্মী তথা ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা চন্দননগরের বাসিন্দা মিন্টু মন্ডলকে। এদিনই সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ মূল অভিযুক্ত পানাগড়ের গাড়ির যন্ত্রাংশ কাটাইয়ের কারবারী পলাতক বাবলুর বন্ধু দিলীপ সাউকে পুলিশ গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যায়। তবে কোথায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু জানাতে চায়নি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
