Durgapur News : বাংলাদেশি নাবালিকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৩১ আগস্ট ২০২৩: সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের যৌন পল্লি কাদা রোড এলাকা থেকে এক বাংলাদেশি নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। তদন্তে নেমে দুর্গাপুর থানার পুলিশের হাতে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এখন, আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের (international human trafficking racket) যোগ থাকার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নাবালিকা উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া তিন জনের মধ্যে মুস্তাক আহমেদকে গ্রেফতার করা হয় পানাগড়ে ডাঙাপাড়ায় ভাড়া বাড়ি থেকে। মুস্তাক ও তাঁর স্ত্রী দু’জনেই এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ডাঙাপাড়ার ওই ভাড়া বাড়িতেই নাবালিকাকে রাখা হয়েছিল। তাকে পাড়ায় নিজের বোন বলে পরিচয় দিতেন মুস্তাকের স্ত্রী। তবে তাকে এলাকার কারও সঙ্গে মিশতে দেওয়া হত না।
তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে যে মুস্তাক রীতিমতো আর্ন্তজাতিক নারী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। নিজেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সে। পুলিশ সেই পরিচয় যাচাই করার কাজ করছে। গ্রেফতার হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে সে দাবি করে, ওই বাংলাদেশি নাবালিকাকে ভালোবেসে বিয়ে করে এই রাজ্যে নিয়ে এসেছে সে। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে।
কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশের দুই দালাল ওই নাবালিকাকে ভুবনেশ্বরের এক নারী পাচারকারীর হাতে তুলে দেয়। নাবালিকাকে নিয়ে আসা হয় দুর্গাপুরের একটি বিউটি পার্লারে। নাবালিকাকে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের এক হোটেল মালিক চড়া টাকার বিনিময়ে ভুয়ো আধার কার্ড ও প্যান কার্ড করিয়ে দেন। এরপর থেকে সে মুস্তাকের স্ত্রীর সঙ্গে থাকত। তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হত। বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে এসকর্ট সার্ভিস দিতে হত তাকে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, মুস্তাক সোমবার দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি মোড়ে ওই বাংলাদেশি নাবালিকাকে গাড়িতে করে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে এক ব্যক্তি তাকে যৌনপল্লিতে মুস্তাকের স্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়। নাবালিকা সেখানে পৌঁছে আশপাশ ঘুরে দেখছিল। তখন স্থানীয় যৌন কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দেন তাঁরা। এরপরেই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। একে একে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। মুস্তাক ও তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে আসানসোল ও দুর্গাপুরের প্রায় ২০টি হোটেলের নাম পেয়েছে। সেই সব হোটেলে ওই নাবালিকাকে সার্ভিস দিতে হত বলে মনে করা হচ্ছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।