দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২১ জুলাই ২০২৪: সেটা ১৯৯৩ সাল। রাজ্যে তখন ক্ষমতায় জ্যোতি বসুর বামফ্রন্ট সরকার। সিপিএমের বিরুদ্ধে ছাপ্পা-রিগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে সরব ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদের মধ্যে অন্যতম প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তৃণমূলের জন্ম হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ছিলেন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী। তাঁর ডাকে সেই বছর ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।
যুব কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা মহাকরণের কাছে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ব্যারিকেড টপকে এগোনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়, লাঠিচার্জ করতে থাকে। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে পুলিশ গুলি চালায়। ১৩ জন যুব কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকের মৃত্যু হয়। তখন থেকে প্রতি বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
এবারও সারা রাজ্য থেকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা ধর্মতলায় শহিদ দিবসের কর্মসূচীতে যোগ দিতে গিয়েছেন। দলের কর্মী সমর্থকদের জন্য বিশেষ পোশাকের ব্যবস্থা করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) তৃণমূল নেতৃত্ব। মহিলাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ও ‘শহিদের রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ লেখা শাড়ি’ এবং পুরুষদের জন্য হলুদ রঙের পাঞ্জাবী দেওয়া হয়। পান্ডবেশ্বরে শনিবার জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী দলের কর্মীদের হাতে এই বিশেষ পোশাক তুলে দেন। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
#Ekushe July