দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: রাখিবন্ধন করে আরজি করের নৃশংস ঘটনার দোষীদের ফাঁসি চেয়ে প্রতীকি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে প্রতিবাদ তৃণমূলের। সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ মাঠে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সাংসদ কীর্তি আজাদ, প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
রাখি বন্ধন শেষ হতেই মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “এর আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনা ঢাকার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যে আরজি করের নৃশংস ঘটনার পরেই প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিহ্নিত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবারের মধ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখন বিরোধীরা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনাকে নিয়ে নাটক শুরু করেছে। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। দ্রুত কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছি।”
( রাজেন্দ্র একাডেমি ফর টিচার্স এডুকেশন। NAAC স্বীকৃত শিক্ষক প্রশিক্ষণের সেরা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 8170031466)
জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “১৪ আগষ্ট রাতে কারা ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছিল সেটা সবাই দেখেছে। রাম, বাম, নকশালরা জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও করেছে। সেইদিন রাতে দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ ময়দানে যে বিজেপি বিধায়ক প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তাঁর ভাইপো ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত। সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারাই আবার বলছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। তাঁরা জানেন না, মমতা ব্যানার্জি প্রতিবাদের আর এক নাম। মুখ্যমন্ত্রী খবর পাওয়া মাত্রই বলেছিলেন, পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। পুলিশও গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু এখন সিবিআই তদন্ত করছে। ১২০ ঘণ্টা পেরিয়েছে। তাও কাউকে খুঁজে পায়নি। আমরাও চাই অপরাধীদের ফাঁসি। তাই আজ প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চ করে আমরা প্রতিবাদ করছি।”
সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, “উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু সেখানে কোনও প্রতিবাদ নেই। অপরাধীদের ছেড়েও দিচ্ছে বিজেপি সরকার। কিন্তু এ রাজ্যে অপরাধ ঘটলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রেয়াত করে না, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।