দুর্গাপুর দর্পণ, ২৪ জুন ২০২৪: আন্দোলন করেছেন পাট্টার দাবিতে। প্রতিবাদ করেছেন আদিবাসীদের উপর নির্যাতনের। ছাঁটাই আদিবাসীকে কাজে ফেরানোর দাবি তুলেছেন। সব ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। কিন্তু কাজ কিছু হয়নি। এমনই অভিযোগ তুলে মোট ১৬ দফা দাবিতে সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আদিবাসীরা।
এদিন দুপুরে বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা ও জুমিত গাঁওতার নেতৃত্বে আদিবাসীরা। তারপরেই পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করেই হুড়মুড়িয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় কাঁকসা থানার পুলিশকে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
ভারত জাকাত মাঝি পারগানার জয়দেব মুর্মু বলেন, “আদিবাসীদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। প্রত্যেক আদিবাসী পরিবারকে আবাস যোজনায় বাড়ি দিতে হবে। ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে। খেঢ়ো বাড়িতে পাম্প হাউজের কাজ থেকে দিলীপ কিস্কুকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে পুনর্নিয়োগ করতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে আমরা হাঁটব।”
এ বিষয়ে বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সোমনাথ গাঙ্গুলী বলেন, “আমাদের কাছে ওঁরা ওঁদের দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন। সেই দাবিগুলি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হবে সেই দাবিগুলি যাতে তা পূরণের ব্যবস্থা করা যায়।” কয়েক ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ চলার পর প্রধান এবং উপপ্রধানের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত শান্ত হন আদিবাসীরা। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।