দুর্গাপুর দর্পণ, ৩ জুলাই ২০২৪: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ধুন্ধুমার কান্ড পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে ইন্ডিয়ান অয়েলের বটলিং প্লান্টে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরেও শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তোলপাড় দুর্গাপুর। দুই পক্ষের হাতাহাতিতে ব্যাপক উত্তেজনা।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার লেনিন সরণির রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল বটলিং প্লান্ট থেকে প্রতিদিন ট্যাঙ্কারে করে বিভিন্ন জেলায় গ্যাস পরিবহণ করা হয়। আইএনটিটিইউসির তরফে দায়িত্বে রয়েছেন সোমনাথ দাস, দীপক মাঝি সহ কয়েকজন যুবক। চালকের কাজ করেন স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী জেলার যুবকেরা। তাঁরাও আইএনটিটিইউসির সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, দুই পক্ষের মধ্যে নানা কারণে বিবাদ লেগেই থাকে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
বুধবার বিকেলে আচমকা শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি। ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। দুই পক্ষই কোকওভেন থানায় বিষয়টি জানায়। সহদেব ঘোষ নামের এক চালকের অভিযোগ, “চালকদের কখনও কাজ থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কখনও টাকা চাওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করি। তখন আমাদের মারধর করে ওরা।”
বিয়ে শেষ হতে না হতেই বর-কনে নামল রাস্তায়, সবাই অবাক! দুর্গাপুরে হঠাৎ এ কী হল?
পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, “একজন চালক দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত ছিলেন। সেই জন্য বেশ কয়েকজন ওই চালকের গাড়িতে ওঠা নিয়ে আপত্তি করেন। তখন তৃণমূলের কোনও নেতাকে কেউ গালাগালি দিলে ঝামেলা শুরু হয়। টাকা আদায়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিষয়টি দেখছি।” বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে, তোলাবাজি বন্ধ করতে হবে বলছেন তত তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। ইন্ডিয়ান অয়েল বটলিং প্লান্টের মত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় চালকদের মারধর করা হচ্ছে। তৃণমূলেরই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি হচ্ছে। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাইছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।