দুর্গাপুর দর্পণ, ৪ মে ২০২৪: ভোটের মুখে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে বিতর্কে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারবিভাগীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। দুর্গাপুরের সার কারখানা হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন লিমিটেড (HFCL) পাকাপাকি বন্ধ হয় ২০০২ সালে। কারখানা ঢেকেছে জঙ্গলে। চোরের ভয়ে রাতে কাঁপেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মনে হয়েছে, দেশে সার আমদানি কমাতে দুর্গাপুরের বন্ধ সার কারখানাটি ফের খোলা যেতে পারে!
২০১৯ সালে বর্ধমান-দুর্গাপুরে বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হওয়ার পর সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এই সার কারখানা খোলার বিষয়ে আশার আলো জাগিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে কিছু করেননি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবারের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে দুর্গাপুরে প্রচারে এসে চুপি চুপি ওই বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা পরিদর্শনে যান। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
( Dr. BC Roy Engineering College & Group of Instutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
বিজেপির মন্ত্রী মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য এসব করছেন, কটাক্ষ পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “যদি কারখানা খোলা হয় তাহলে উত্তম। আমরা বিজেপিকে স্যালুট জানাবো। কারণ এই কারখানা বিজেপির প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির আমলেই বন্ধ হয়েছিল। ২০২৪ এর পর বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই কারখানা যদি খোলা হয় তাহলে আমরা আপনাদের ফটোয় মালা পরাবো। আর, না খোলা হলে কুশপুত্তলিকা দাহ করব।”
অন্যদিকে, সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আচরণ বিধি লাগু হওয়ার পর এখন উনি কিসের মন্ত্রী? কী করে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার ভেতরে ঢুকতে পারেন? নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে মামলা করা উচিত মন্ত্রী ও কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।