দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: হারিয়ে যাওয়া ভাদু গানকে বাঁচিয়ে রাখতে ভাদুগানের উৎসব হল দুর্গাপুর শহরে। ভাদু উৎসব ভাদ্র মাসের উৎসব। ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিনে ভাদু পুজো হয়ে থাকে। অনেকে মনে করেন ‘ভাদ্র’ মাস থেকে ভাদু শব্দটি এসেছে। আবার কেউ বলেন, ভাদু মানে লক্ষ্মী। যে হেতু লক্ষ্মী বিভিন্ন সময়ে পূজিত হন, তাই ভাদ্র মাসের লক্ষ্মীকে পৃথক ভাবে চিহ্নিত করার জন্য ভাদু পুজোর প্রচলন হয়। ধর্মীয় মতে ভাদ্র মাসে যে রমণী লক্ষ্মীপুজো করেন তাঁর উপরে যশোলক্ষ্মী, ভাগ্যলক্ষ্মী, কুললক্ষ্মী প্রসন্ন হন। সেই সূত্রে মনে হয়, ভাদু আসলে শস্যদেবী। ধান ওঠার ফলে চাষিদের ঘরে শস্য বন্দনার যে রেওয়াজ ছিল, তা নানা বিবর্তনের ফলে গড়ে ওঠে ভাদুদেবী রূপে।
তবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ভাদু উৎসব আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসছে ভাদু গানের সুর। অন্যদিকে নতুন প্রজন্ম এই বিষয়ে প্রায় অজ্ঞ বললেই চলে। তাই শুক্রবার দুর্গাপুর শহরের বুকে হারিয়ে যাওয়া ভাদুগানের উৎসব করলেন লোকশিল্পী জীবন কিশোর চট্টোপাধ্যায়। এই উৎসবে যোগ দেন লোকশিল্পী বৃতি চট্টোপাধ্যায়, ঢোল বাদক সৌদীপ চক্রবর্তী, বাঁশি শিল্পী সুনীল ডোম।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
এদিন বিকেলে ডিএসপি টাউনশিপের এ জোনের মেজর পার্কে জীবনবাবু নিজের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে মেতে ওঠেন রাঢ়বঙ্গের ভাদু গানের সুরে। অনেকে পার্কে ভিড় জমান ভাদুগান শুনতে। প্রবীণেরা যেমন উৎসবে যোগ দিয়ে নিজেদের ছেলেবেলায় ভাদু গান শোনার স্মৃতি রোমন্থন করেন তেমনই নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ভাদুগানের মনোমুগ্ধকর সুর তাড়িয়ে উপভোগ করে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।