শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়াদের সরস্বতী পুজোর সকাল শুরু হবে ‘জয় জয় দেবী, চরাচর সারে’ মন্ত্রে। হলুদ পাঞ্জাবি আর বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়ে সবাই মেতে উঠবে সরস্বতী পুজোয়।
——————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের ২৫নং ওয়ার্ডের আদিবাসী অধ্যুসিত মুজরোকোন্দা গ্রামে এবার সরস্বতী পুজো হবে ধুমধাম করে। একটি পশুপ্রেমী সংস্থার উদ্যোগে গ্রামের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো বাগদেবীর আরাধনায় খিচুড়ি ভোগ হবে। প্যান্ডেল হবে। সোমবার খুঁটিপুজোর মাধ্যমে শুরু হলো প্যান্ডেল বাঁধার কাজ। শহরের শেষে মাঠ পেরিয়ে ২৫০ বছরের প্রাচীন ওই আদিবাসী গ্রাম। দুর্গাপুর পুরসভা আর দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের গোলকধাঁধায় পড়ে কার্যত নাজেহাল দশা গ্রামের। আর্থিক সংকটের মধ্যেই দিন গুজরান করে গ্রামের প্রায় সমস্ত পরিবার। এলাকার বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য রয়েছে একটি সরকারি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। গ্রাম গড়ে ওঠার পর থেকে আর্থিক কারণে এখানে পুজোয় জাঁকজমক হয় না। কোনও রকমে নম নম করে পুজো হয়ে থাকে।
গ্রামের মাটিতে ধুমধাম করে পুজো হোক, উৎসব হোক, চাইতেন গ্রামবাসীরা। সেই ইচ্ছে পূরণে এগিয়ে এসেছে দুর্গাপুরের একটি পশুপ্রেমী সংস্থা। করোনার সময় ওই সংস্থাটি সেখানে যেত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে। তখনই তাঁরা জানতে পারেন গ্রামবাসীদের ইচ্ছের কথা। এদিন খুঁটি পুজোর সময়েই পড়ুয়াদের উৎসাহ বাধ মানে না। তেমনই উৎসাহ গ্রামবাসীদেরও। পশুপ্রেমী সংস্থার ম্যানেজার শর্মিষ্ঠা মুন্সি বলেন, “আমরা পথ কুকুরদের যেমন খেয়াল রাখি তেমনই দুঃস্থ মানুষেরও পাশে থাকি। ওই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষের পাশে আমরা সব সময় থাকি। কখনও চিকিৎসা পরিষেবা, কখনও খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়ে থাকি।’’
তিনি জানান, সংস্থার তরফে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ করা হবে পুজোর জন্য। পুজোর দিন থাকবে খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা। গ্রামবাসীদের সারা দিন কাটবে হৈ হুল্লোড় করে। আগামী বছর থেকে দুর্গাপুজো করার চিন্তাভাবনাও চলছে বলে জানান তিনি। এলাকাবাসী লক্ষ্মণ মুর্মু জানান, এর আগে গ্রামে ধুমধাম করে পুজো হয়নি। এবার হবে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।