দুর্গাপুর দর্পণ, ২ জুলাই ২০২৪: মদ কারখানার দূষিত বর্জ্য রাখা হয়েছে এলাকার একটি গুদামে। দুর্গন্ধে টেকা দায়। তার উপরে মাঝে মাঝেই গুদামে আগুন লেগে বিপদ ডেকে আনছে। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের পানাগড় শিল্প তালুকের একটি মদ কারখানার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। সোমবার ফের গুদামে আগুন লাগে। প্রতিবাদে তাঁরা পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ব্যাপক যানজট হয়। দীর্ঘ চেষ্টার পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
কাঁকসা ডোমরা গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় এক মাস ধরে এমন ভোগান্তির মুখে রয়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে প্রশাসনকে লিখিতভাবে বহু বার জানিয়েও কোন সমাধান হয়নি। দূষিত গন্ধে এলাকার মানুষ জন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে গুদামে বার বার আগুন লাগছে। যার ফলে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। দমকল বিভাগ থেকেও মদ কারখানার কর্তৃপক্ষকে বার বার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ কোন রকম কর্ণপাত করেনি। সব মিলিয়ে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
কিশোরীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ধুন্ধুমার কান্ড
সোমবার ফেল গুদামে আগুন ধরে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় দমকল বিভাগকে। অবশেষে অক্সিজেন মাস্ক পরে আগুন নেভাতে হয়। দমকলের আধিকারিক সুদীপ্ত পাল জানিয়েছেন, এই দূষিত বর্জ্যের গুদামে বার বার আগুন লাগছে। কারখানা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বার বার জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। গুদামের মালিক গৌতম ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, একটি মদ কারখানা তাঁর গুদামটি ভাড়া নিয়েছিল। কিন্তু এই ধরনের দূষিত বর্জ্য রাখবে তা তাঁকে জানানো হয়নি। প্রশাসনকে তিনি এই গুদাম খালি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন। এলাকার মানুষের প্রশ্ন, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কী করে কারখানা কর্তৃপক্ষ এই ধরনের দূষিত পদার্থ মজুদ করে রাখতে পারে? (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।