দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৮ এপ্রিল ২০২৪: একটা করে নির্বাচন আসে আর পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা মাইনিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশন (এমএএমসি) রাজনৈতিক তরজার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
কারখানা বন্ধ হয়েছে ২০০২ সালে। কারখানা পুনরায় চালু করার জন্য তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বিইএমএল, সিআইএল ও ডিভিসির কনসোর্টিয়াম ২০১০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে নিলামে দায়িত্ব পায়। কিন্তু আজও চালু হয়নি কারখানা। সিপিএম ও তৃণমূলের অভিযোগ, এজন্য দায়ী কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু সোমবার বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এর দায় চাপালেন সিপিএম ও তৃণমূলের ঘাড়ে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যে অনেক রুগ্ন কারখানা আছে। যারা ধান্দাবাজি, ইউনিয়ন বাজি করে বন্ধ করেছে তাঁদের দায়িত্ব কী আছে? তখন তো রাজ্যে সিপিএম ক্ষমতায় ছিল। ১২বছর ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। কী করেছে তারা? বিজেপির পলিসি আছে। সেই পলিসিতেই চলে। মানুষের ট্যাক্সের টাকাতে রুগ্ন কারখানা চালানো উদ্দেশ্য নয়। কারখানায় লাভ না হলে চলবে কী করে?”
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের সাফাই, “কেন্দ্রীয় সংস্থা রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করতে পারে না। যে সময় এমএমসি কারখানা বন্ধ হয়েছিল তখন কেন্দ্রে অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যের কাছে দু’হাত তুলে আত্মসমর্পণ করে দিন। দেখুন সব কলকারখানা খুলে যাবে।”
অন্যদিকে, বিজেপি আর তৃণমূলকে একযোগে কটাক্ষ করে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “যে সময় কারখানা বন্ধ হয় তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ি। মমতা ব্যানার্জি ছিলেন ওঁদেরই মন্ত্রী। কারখানার খোলার আর্জি জানিয়ে কয়েক হাজার চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসু।’’ (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
#2024loksabhaelection