![kanksa murder](https://i0.wp.com/durgapur24x7.com/wp-content/uploads/2023/11/kanksa-murder.jpeg?fit=1024%2C580&ssl=1)
বছর তিনেক আগে জুনেদ সিমরনকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রত্যাখ্যান করে সিমরন। ততদিনে সিমরনের কাকিমা রিঙ্কুর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে জুনেদের।
——————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা, ৭ জানুয়ারি ২০২৪: বাড়িতে ঢুকে ভর দুপুরে তিনজনকে খুন করল দুষ্কৃতী। গত বছরের ১০ নভেম্বর পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের কাঁকসার সারদাপল্লির এই খুনের তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় তদন্তকারীদের! শনিবার রাতে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত মোট দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
খুনের ঘটনার কয়েকদিন আগে সারদাপল্লির ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা সস্ত্রীক আসামে গিয়েছিলেন তাঁর বড় মেয়ের বাড়িতে। বাড়িতে ছিল ছোট মেয়ে সিমরন, ধনঞ্জয়ের শাশুড়ি সীতাদেবী এবং শ্যালকের ছেলে সনু বিশ্বকর্মা। তাঁদের শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়। ধনঞ্জয়ের ভাই রাজু দাবি করেন, তিনি বিশেষ কাজে ইলামবাজারে গিয়েছিলেন। স্ত্রী রিঙ্কুর মুখে শোনেন, হেলমেট পরে বাইক নিয়ে কেউ এসেছিল ধনঞ্জয়ের বাড়িতে। আবার হেলমেট পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইক নিয়ে চলে যায়। এরপরেই রিঙ্কু গিয়ে দেখতে পান সিমরন এবং সীতাদেবীর দেহ পড়ে আছে দুটি বিছানায়। সোনুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে বাড়ির উঠোনে।
মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বুধবার রিঙ্কুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিঙ্কু সম্পর্কে সিমরনের কাকিমা। কাকিমার বিবাহ বহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক সিমরন জেনে যাওয়ায় এবং আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করে দেওয়ায় তাকে খুন করা হয় বলে পুলিশের দাবি। শনিবার এই খুনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে রাজবাঁধের বাসিন্দা মহম্মদ জুনেদ ওরফে পাপ্পুকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এক রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থার ঠিকা কর্মী জুনেদের আর একটি বাড়ি আছে সারদাপল্লিতে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর তিনেক আগে জুনেদ সিমরনকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রত্যাখ্যান করে সিমরন। ততদিনে সিমরনের কাকিমা রিঙ্কুর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে জুনেদের। জুনেদের সঙ্গে রিঙ্কুর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছিল সিমরনের কাছে। সেই ছবি পরিবারের কাছে ফাঁস করে দেয় সিমরন। এতেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয় রিঙ্কু ও জুনেদের মধ্যে।
সিমরনকে খুন করতে তারা দুজনেই ষড়যন্ত্র করেছিল বলে পুলিশের দাবি। রিঙ্কুর গ্রেফতারের আগেই এই খুনের তদন্তে জুনেদকে একাধিকবার জেরা করেছিল পুলিশ। কিন্তু দফায় দফায় মিথ্যা কথা বলে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল সে। রিঙ্কুকে জেরা করার পরে জুনেদের যোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। রবিবার তাকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে খুন তৃতীয় কাউকে দিয়ে করানো হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।