নির্যাতিতার সহপাঠীকে তোলা হল আদালতে, দাঁড়ালেন না কোনও আইনজীবী

মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয় সহপাঠীকে
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: শুক্রবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ বিজড়া ডাঙাপাড়ার শেখ রিয়াজউদ্দিন, ফিরদৌস শেখ, নাসিরুদ্দিন শেখ ওরফে সম্রাট, সফিক শেখ এবং বিজড়া বাউড়িপাড়ার অপু বাউড়িকে গ্রেফতার করে। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী তাঁর এক সহপাঠী ছাত্র ওয়াসেফ আলীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তার পাশের জঙ্গলে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। টানা চারদিন দফায় দফায় জেরা করার পরে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয় সহপাঠীকে।
মঙ্গলবার সকালে প্রথমে ধৃতদের এবং পরে সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করে পুলিশ। সন্ধ্যায় পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী বলেন, “ধৃতদের এবং সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়েছে। ধৃত ও সহপাঠীর পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। এখন পর্যন্ত যা টেকনিক্যাল প্রমাণ মিলেছে এবং নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, একজন ধর্ষণ করেছে। বাকিদের কার কী ভূমিকা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সহপাঠীর আচরণ সন্দেহের উর্ধে নয়। ওকে আমরা বার বার জেরা করছি। ওর কী ভূমিকা তা নিশ্চিত ভাবে জানার পরে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ হবে।”
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ জানায় নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে সহপাঠীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। বাকি ৫ জন অভিযুক্তের হয়ে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। এদিনও সহপাঠীর হয়ে কোনও আইনজীবী মামলা লড়তে রাজি হননি। পুলিশের তরফে হেফাজতে চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, নির্যাতিতার বাবা এই সহপাঠীকেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে। সহপাঠী গ্রেফতার হওয়ায় এই ঘটনায় মোট ৬ জন গ্রেফতার হল। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )