দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২৯ জুলাই ২০২৪: বাংলা সাহিত্যের অমর কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২৬ তম জন্মজয়ন্তী পালন করা হল পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে। দুর্গাপুর নগর নিগম বিধানচন্দ্র সভাগৃহে ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় কথাসাহিত্যিকের জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুর পরিষদ মিউজিক্যাল একাডেমির সদস্যরা। তারাশঙ্করের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
স্বাগত ভাষণ দেন তারাশঙ্করের পৌত্র সৌম্যশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তারাশঙ্কর বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক তথা রবীন্দ্র গবেষক অমিত্রভূষণ ভট্টাচার্য্য, প্রাবন্ধিক অরুণ মুখোপাধ্যায়, নবীন কথাকার মণিশঙ্কর, মিত্র ও ঘোষ প্রকাশনার অন্যতম কর্ণধার নূর আলম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, উদ্যোগপতি বিশ্ববিজয় সূত্রধর, সঙ্গীতশিল্পী বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, আবৃত্তিকার হৃদয় সাঁই, দুর্গাপুরের প্রগতিশীল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব সুকমল ঘোষ সহ অনেকে।
( BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের গণদেবতা, সপ্তপদী ও রাইকমল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় যথাক্রমে অমিত্রভূষণ ভট্টাচার্য্য, অরুণ মুখোপাধ্যায় ও মণিশঙ্করকে।অনুষ্ঠানে তারাশঙ্কর রচিত সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রত্যুষা নন্দী। তারাশঙ্কর রচিত নাটক মঞ্চস্থ করে বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও গ্রন্থিক হিসাবে ছিলেন সূর্য্য মাইতি। অনুষ্ঠানে হাঁসুলি পত্রিকা প্রকাশ করা হয়।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি ছোটগল্প সংকলন, ১২টি নাটক ছাড়াও ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ প্রভৃতির রচয়িতা ছিলেন। আরোগ্য নিকেতন উপন্যাসের জন্য তারাশঙ্কর ১৯৫৫ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার ও ১৯৫৬ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৬৭ সালে গণদেবতা উপন্যাসের জন্য তিনি জ্ঞানপীঠ পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৬২ সালে পান পদ্মশ্রী এবং ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ সম্মান অর্জন করেন তিনি। (বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।