দুর্গাপুর: কাঁকসার দেউলের জঙ্গলে পিকনিক করতে গিয়ে কে নিয়ম ভাঙছে, ঘুরে ঘুরে খোঁজ নিচ্ছে ঐরাবত! কে তারস্বরে লাউড স্পিকার বাজাচ্ছে, কে থার্মোকলের থালা-গ্লাস ব্যবহার করছে পিকনিকে, সতর্ক নজর রাখছে ঐরাবত। তবে এখানে ‘ঐরাবত’ মানে কিন্তু হাতি নয়। এটি হল বন দফতরের একটি বিশেষ গাড়ি। সেই গাড়িতে চেপে দেউলের জঙ্গলের বন্য জীবজন্তুদের সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা।
মঙ্গলবার ছিল বছরের শেষ দিন। বুধবার নতুন বছরের শুরু। বছরের শেষ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছিলেনকাঁকসার দেউলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে। এই বনাঞ্চলে রয়েছে প্রায় ১০০ হরিণ, কয়েকশো ময়ূর, ভারতীয় প্রজাতির নেকড়ে, নীলগাই, সজারু সহ বহু বিরল প্রজাতির প্রাণী। সেখানে রয়েছে অজয় নদের ধারে বিশাল পিকনিক স্পট। অনেকেই সেখানে আজ পিকনিকে মেতে ওঠেন।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
সাধারণত, পিকনিক স্পটে তারস্বরে লাউড স্পিকার বাজাতে দেখা যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বন্য জীবজন্তুরা। তাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই ‘ঐরাবতে’ চড়ে পিকনিক স্পট জুড়ে নজরদারি চালাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। তাঁরা মাইকিং করে থার্মোকলের থালা-বাটি ব্যবহার না করা, লাউড স্পিকার ব্যবহার না করা, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অনধিকার প্রবেশ না করা, বন্য জীবজন্তুদের উত্যক্ত না করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিট অফিসার অনুপ কুমার মন্ডল সহ বন কর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন।
দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বনাধিকারিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সবসময় নজরদারি চালানো হয়। তবে পিকনিকের মরশুমে মঙ্গলবার থেকে বিশেষ নজরদারি শুরু হল। গোটা পিকনিক স্পট জুড়ে ঐরাবত গাড়িটি করে মানুষজনকে সচেতন করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি নিয়ম না মানেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পর্যটক মুনমুন মন্ডল বলেন, “স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে পিকনিক করতে এসেছি। নিয়ম মেনেই পিকনিক করছি আমরা।” (বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।