
দুর্গাপুর: রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জ্বলজ্বল করছে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) কাঁকসার শ্যামরূপা মন্দির ও দেউল। প্রায় সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। দুর্গাপুজোর সময় শ্যামরূপা মন্দিরে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। কিন্তু দুই জায়গায় যাতায়াতের রাস্তা বেহাল। বিশেষ করে বর্ষায় যাতায়াত করা ছিল কার্যত অসম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা পাকা করার দাবি ছিল স্থানীয়দেরও। অবশেষে শনিবার সেই রাস্তা পাকা করার কাজের সূচনা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
জানা যায়, সেন বংশের আমলে রাজা লক্ষ্মণ সেন গড় জঙ্গলে শ্যামরূপা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মুচিপাড়া-শিবপুর রাস্তার শ্যামরূপা মোড় থেকে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রায় ছ’কিলোমিটার মোরামের রাস্তা ধরে এই মন্দিরে পৌঁছনো যায়। আবার এখান থেকে আরও কয়েক কিমি মোরামের রাস্তা দিয়ে গেলে যাওয়া যায় ইছাই ঘোষের দেউল। কথিত আছে, গোপ বংশের রাজা ইছাই ঘোষ এই দেউলটি নির্মাণ করেছিলেন।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় রাস্তা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বন দফতরের জমি হওয়ায় রাস্তা তৈরির অনুমতি মিলছিল না। অনেক টানাপড়েনের পরে শেষ পর্যন্ত বন দফতরের তরফ থেকে পেভার ব্লক দিয়ে রাস্তা করার অনুমতি মেলে। শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দুপুরে প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার কাজের সূচনা করলেন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান বন বিভাগের ডিএফও সঞ্চিতা শর্মা, শ্যামরূপা মন্দিরের প্রধান পূজারী ভূতনাথ রায় প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল এই রাস্তাটি তৈরি করে দেওয়ার। শেষ পর্যন্ত মায়ের ইচ্ছায় তা সম্ভব হল। ৯ কিলোমিটার রাস্তা পেভার ব্লক দিয়ে তৈরি হবে। খরচ হবে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এই রাস্তা ধরে যাতে বালির গাড়ি না যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।” স্থানীয় বাসিন্দা গঙ্গাধর ঘোষ বলেন, “চরম সমস্যা হতো আমাদের এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে। দুর্গা পুজোর চারদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। বৃষ্টি হলে কাদা হয়ে যেত, যানজটের সৃষ্টি হতো। দুর্ঘটনাও ঘটত। মন্ত্রীর তৎপরতায় কাজ শুরু হল।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
