‘আমি ছুটে এসেছি…আর ওরা ঘরে ঘুমোচ্ছে!’, বাঁকুড়ার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে তুলোধোনা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার

‘আমি ছুটে এসেছি…আর ওরা ঘরে ঘুমোচ্ছে!’, বাঁকুড়ার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে তুলোধোনা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার
WhatsApp Group Join Now
Instagram Group Join Now

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: ‘আমার ডিএম, এসপি-রা ছুটে এসেছেন আর বাঁকুড়ার সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, আরও কিছু সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ঘরে ঘুমোচ্ছে? ডেকে পাঠাও।’ এরপর বাঁকুড়ার সেচ দফতরের আরেক আধিকারিককেও ধমকে দিলেন মন্ত্রী তিনি। পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে ১৯৫৫ সালে তৈরি হওয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সেতুর সংস্কার কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেতুর বিকল্প হিসাবে দামোদরের উপর বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সেই বিকল্প রাস্তা খতিয়ে দেখতে আসেন সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। 

তিনি বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে গোটা রাস্তা পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। হাঁটতে হাঁটতে জানতে চান, বাঁকুড়ার সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কোথায়? তিনি সেখানে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত তাঁকে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি ওদের সাথে আলাদা কথা বলতাম। সেই জন্য ওদের ডাকলাম। আমরা বিকল্প রাস্তা ঘুরে দেখলাম। এই রাস্তা দিয়ে আটটা জেলার সংযোগ। ভারী যানবাহন অন্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারাজ সংস্কারের জন্য দামোদর নদ হয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। সেই রাস্তায় পাঁচটা জায়গায় জল জমছে। বাস বা গাড়ির সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু টোটো, বাইক এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হড়কে যেতে পারে। আমি সেচ দফতরের সচিব, সেচ দফতরের আধিকারিক, জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা যে যে সমস্যাগুলি তুলে ধরবেন, সেগুলি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।”

(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)

কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মন্ত্রী বলেন, “নদী বাঁধ ভাঙ্গনের জন্য ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপি সরকার একটিও টাকা দেয়নি। প্রতি বছর আমরা ২৮৬ থেকে ২৯০ কিলোমিটার নদী বাঁধ সংস্কার করি। সেই জন্য আমাদের খরচ দিতে হয় ৫৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার ২ লক্ষ কোটি টাকা না দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার সরকার এবং বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। আমাদের না জানিয়েই জল ছেড়ে দেয় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন।” এদিন উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার জেলাশাসক এন সিয়াদ, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পন্নমবলাম এস, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী সহ দুই জেলার পুলিশের কর্তারা। তাদের নিয়ে দুর্গাপুরে সেচ দফতরের বাংলোয় বৈঠকে বসেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)

আরও পড়ুন: ব্যারাজ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেল? কী হবে এবার?

Highlight
'আমি ছুটে এসেছি...আর ওরা ঘরে ঘুমোচ্ছে!', বাঁকুড়ার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে তুলোধোনা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার
News
'আমি ছুটে এসেছি...আর ওরা ঘরে ঘুমোচ্ছে!', বাঁকুড়ার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে তুলোধোনা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার
:
 'আমার ডিএম, এসপি-রা ছুটে এসেছেন আর বাঁকুড়ার সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, আরও কিছু সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ঘরে ঘুমোচ্ছে? ডেকে পাঠাও।'
Published By
Durgapur Darpan
error: Content is protected !!