রাজ্য সরকারের কাছে বিপুল টাকা বকেয়া, দুর্গাপুরে পাইপ কারখানা বন্ধ হওয়ার মুখে

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের আরআইপি প্লটে রয়েছে একটি পাইপ প্রস্তুতকারী কারখানা। জল জীবন মিশন প্রকল্পে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে ঠিকাদারের মাধ্যমে ওই কারখানা থেকে পাইপ সরবরাহ করা হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পাইপ সরবরাহ করা হচ্ছে। তার মধ্যে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিল মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি ২২ লক্ষ টাকার বিল এখনও মেটানো হয়নি। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কারখানার চেয়ারম্যান গৌতম মিত্র জানান, টাকা নেই। তাই মার্চ মাস থেকে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ১২০ জন কর্মীরা ঠিকমতো মজুরি পাচ্ছেন না। তাঁরা সবাই দক্ষ। তাঁরা কাজ ছেড়ে চলে গেলে দক্ষ কর্মী আর পাওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় নোটিশ এসেছে। ব্যাঙ্কের লোন পরিশোধ না করায় বার বার তাগাদা আসছে। একটি জমি ব্যাঙ্কের কাছে বন্ধক রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছোট কারখানা। ব্যাঙ্ক থেকে ১৬ কোটি টাকা লোন নিয়ে যন্ত্রপাতি বসিয়েছি। এত বিপুল পরিমাণ বকেয়া থাকলে আমরা চালাব কী করে? মন্ত্রী পুলক রায়কে চিঠি দিয়েছি। সিএমও দফতরেও চিঠি পাঠিয়েছি।’
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘রাজ্য সরকারের শিল্প নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। রাজ্য সরকার সব সময় মেলা, খেলা নিয়েই ব্যস্ত। রাজ্যটাকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। জল জীবন মিশন প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিয়ে দিয়েছে। তা সত্বেও বকেয়া থাকছে।’ কারখানার চেয়ারম্যান গৌতমবাবু জানান, দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ দক্ষিণবঙ্গের নানা জায়গায় পাইপ সরবরাহ করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে বকেয়া না মেটানো হলে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। এছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।’
(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

