জামতারা গ্যাংয়ের ফাঁদে প্রাক্তন এলআইসি কর্মী, কেওয়াইসি আপডেটের নামে লোপাট ৪ লক্ষ টাকা

ভুয়ো কেওয়াইসি কলেই সর্বনাশ
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার দফতরের তৎপরতায় বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস। কেওয়াইসি আপডেটের নাম করে হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো কল করে স্ক্রিন শেয়ার অন করিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা লোপাট করে দিয়েছিল জামতারা গ্যাং। পুলিশ তদন্তে নেমে মাস্টার মাইন্ড সহ মোট ৮ জনের পুরো গ্যাংটিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রাক্তন এলআইসি কর্মী মৃণাল কান্তি তিওয়ারি বসবাস করেন ৫৪ ফুট সংলগ্ন আনন্দপুর কো-অপারেটিভে। ঘটনাটি ঘটে ২৮ জুন। জামতারা গ্যাংয়ের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে একের পর এক ওটিপি শেয়ার করে সর্বস্বান্ত হন তিনি। আতঙ্কে হতবাক মৃণালবাবু অবশেষে ১ জুলাই সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ হাতে নিয়েই নেমে পড়ে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে কুখ্যাত জামতারার প্রতারক গ্যাংয়ের নাম। মাস্টারমাইন্ড খগেন দান ও মিঠুন দান সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণার টাকায় অভিযুক্তরা কিনেছিল আড়াই লক্ষ টাকার দুটি দামি মোবাইল ও প্রায় ৫৫ হাজার টাকার সোনা। তবে পুলিশের তৎপরতায় সেগুলি উদ্ধার হয়েছে। বাকি অর্থ উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে। ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, “প্রতারকরা প্রাক্তন এলআইসি এজেন্টকে টার্গেট করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করাই ছিল এদের কাজ। আমাদের তৎপরতায় আটজন ধরা পড়েছে, যার মধ্যে দুজন মূলচক্রী। ব্যাঙ্কের তথ্য কিভাবে প্রতারকদের হাতে পৌঁছাচ্ছিল তা নিয়েও তদন্ত চলছে।” মৃণাল কান্তি তিওয়ারি বলেন, “ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করা হয়েছিল। পরে বুঝতে পারি সর্বনাশ হয়ে গেছে। তবে পুলিশের এই সাফল্যে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।” ধৃতদের পুলিশি হেফাজত শেষ হওয়ায় ফের হেফাজতের আবেদন জানিয়ে তাদের বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
