গণধ*র্ষ*ণ কাণ্ডে কেন সহপাঠীকে গ্রেফতার করা হয়নি, কী বললেন পুলিশ কমিশনার?

সাত সকালে দুই ধৃতকে নিয়ে গ্রামে গেল পুলিশ
সুজয় ভট্টাচার্য, দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: শুক্রবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ বিজড়া ডাঙাপাড়ার শেখ রিয়াজউদ্দিন, ফিরদৌস শেখ, নাসিরুদ্দিন শেখ ওরফে সম্রাট, সফিক শেখ এবং বিজড়া বাউড়িপাড়ার অপু বাউড়িকে গ্রেফতার করে। তারা সবাই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী তাঁর এক সহপাঠী ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তার পাশের জঙ্গলে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মঙ্গলবার সকালে রিয়াজউদ্দিন ও নাসিরুদ্দিনকে নিয়ে বিজড়া গ্রামে যায় পুলিশ। দুর্গাপুর থানা ও নিউটাউনশিপ থানার যৌথ টিম তাদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে জেরায় পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখেন। তদন্তকারীরা কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। একই সঙ্গে এদিনই ধৃতদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সকাল থেকে সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে সেখানে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
সহপাঠীকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, সেই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী বলেন, “যে ৫ জন ঘটনাস্থলে ছিল, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সহপাঠীকে আমরা প্রয়োজন মতো জেরা করছি। উনি সহযোগিতা করছেন। ওঁকে যখন ডাকা হচ্ছে, উনি আসছেন। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলব না। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে। আমরা পরিবারকে আশ্বস্ত করছি, দোষীদের কঠোরতম সাজা নিশ্চিত করা হবে।”
সোমবার বিকাল ৫টা নাগাদ রাজ্যপাল হাসপাতালে যান। তিনি নির্যাতিতা ছাত্রী, তাঁর বাবা-মা, চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবার সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপাল বলেন, “বেদনাদায়ক ঘটনা। পুলিশ বা সরকারি আধিকারিকদের কাছে নয়, প্রকৃত ঘটনা জানতে আমি নিজে এসেছি। নির্যাতিতা অত্যন্ত ভীত এবং সন্ত্রস্ত হয়ে আছে। এমন ঘটনা রাজ্যে বার বার ঘটছে। সবাইকে একজোট হয়ে এবার এটা শেষ করতে হবে।”
ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলও এসেছিল সোমবার। প্রথমে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। প্রায় ১৫ মিনিট পরে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়। প্রায় তিন ঘন্টা তাঁরা ভিতরে ছিলেন। কমিশনের চেয়ারপার্সেন শোভনা মহান্তি বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। উনি চাইলে নির্যাতিতার জন্য খুব ভাল ব্যবস্থা করতে পারতেন। পুলিশকে অনুরোধ করেছি, ফাস্ট ট্রাক কোর্টে দ্রুত বিচারের জন্য চেষ্টা করতে। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল নির্যাতিতার পাশে থাকা।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সব সময় খবর নিয়েছেন। পুলিশ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। দোষীদের কঠোর সাজা যাতে হয় সেই চেষ্টা করা হবে। তাই কে কী বলছেন তা গুরুত্ব দিচ্ছি না।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )