দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক কিকবক্সিংয়ে ট্রিপল গোল্ড পেল দুর্গাপুরের ছোট্ট আরাধ্যা

দুর্গাপুর: দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক কিকবক্সিংয়ে ট্রিপল গোল্ড পেল দুর্গাপুরের ৮ বছর বয়সী আরাধ্যা ধীবর। ১-৫ ফেব্রুয়ারি নিউদিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হল চতুর্থ ওয়াকো ইন্ডিয়া ওপেন ইন্টারন্যাশনাল কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায়। প্রথমবার অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনটি ইভেন্টে ট্রিপল গোল্ড পেয়েছে আরাধ্যা। এছাড়াও একটি ইভেন্টে সিলভার পেয়েছে সে।
জাতীয় স্তরে গত বছর পুনেতে জোড়া পদক পাওয়ার পর সুযোগ আসে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশের হাজারের বেশি কিকবক্সিং খেলোয়াড় বিভিন্ন বয়স ও ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করেছিল চতুর্থ ওয়াকো ইন্ডিয়া ওপেন ইন্টারন্যাশনাল কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায়। তাদের মধ্যে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি স্বর্ণপদক পেয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে আরাধ্যা।(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
চিলড্রেন ক্যাটাগরি তে -৩৬ ও +৩৬ ওজনের বিভাগে পয়েন্ট ফাইটে এবং মিউজিক্যাল ও ক্রিয়েটিভ ফর্ম বিভাগে অংশগ্রহণ করে আরাধ্যা। ক্রিয়েটিভ ফর্ম ও মিউজিক্যাল ফর্ম বিভাগে একটি গোল্ড ও একটি সিলভার পায়। -৩৬ ও +৩৬ ওজনের বিভাগে পয়েন্ট ফাইটে দুটি গোল্ড পায় আরাধ্যা। মাত্র ১বছর ধরে দুর্গাপুরের প্রশিক্ষক ঈশ্বর মাজির তত্ত্বাবধানে এলএসএম কিকবক্সিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরাধ্যা ইতিমধ্যেই ৬টি বড় প্রতিযোগিতায় ২০ এর বেশি পদক পেয়েছে। এর মধ্যে জেলা স্তরে ও রাজ্য স্তরে দুটি করে গোল্ড ও সিলভার এবং জাতীয় স্তরে দুটি ব্রোঞ্জ উল্লেখযোগ্য। কিছুদিন আগে রাজ্য ইন্টার স্কুল গেমসে স্বর্ণ পদক পায় আরাধ্যা। দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত সাউথ বেঙ্গল কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ ও স্পোর্টস কার্নিভালেও পদক লাভ করে আরাধ্যা।পশ্চিম বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস কিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক ফিরোজ খান বলেন, আন্তর্জাতিক ম্যাচে আরাধ্যা তিনটি স্বর্ণপদক পেয়ে আমাদের জেলা, রাজ্য তো বটেই পুরো দেশকে গর্বিত করেছে। প্রশিক্ষক ঈশ্বর মাজির কথায়, আরাধ্যা বয়সে ছোট হলেও কিক বক্সিং খেলার প্রতি তার আগ্রহ ও কঠোর অনুশীলন ওকে ভবিষ্যতে দেশের অন্যতম বড় খেলোয়াড় হবার দিকে নিয়ে যাবে। আরাধ্যা দুর্গাপুর ফিরলে আমরা সম্বর্ধনা দেব।
মা কাকলী ধীবর বলেন, আমরা সকলেই গর্বিত যেভাবে ও চারটি ইভেন্টে চারটি পদক পেয়েছে। তার মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্বর্ণ পদক দেশকে উপহার দিয়েছে। এরপর বাইরের দেশে খেলার সুযোগ পাবে। কিন্তু এই খেলার সরঞ্জাম অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও বিদেশে খেলতে গেলে লক্ষাধিক টাকা খরচ যা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে ব্যয় করা কঠিন। তবু আমরা আশাবাদী, আরাধ্যার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
