প্রায় দুই দশক পরে রাজ্য থেকে জ্যাভলিনে সোনা নিয়ে এল দুর্গাপুরের অন্বেষা

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: ছোট থেকে এক্সারসাইজ-ইনডিউসড ব্রংকোকনস্ট্রিকশন রোগে আক্রান্ত। খেলাধুলো করতে গেলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেত পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ইছাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বনশল এলাকার অন্বেষা টুডুর। তবু হাল ছাড়েনি সে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে সম্প্রতি কলকাতায় আয়োজিত ৭৩ তম রাজ্য অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সিনিয়র মহিলা বিভাগে জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয় করেছে অন্বেষা।
সল্টলেকের সাই স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সেখানে অন্বেষা ৩৭.৮৫ মিটার দূরে জ্যাভলিন থ্রো করে স্বর্ণপদক লাভ করে। দুর্গাপুর সরকারি কলেজে থেকে স্নাতক হয়েছে অন্বেষা। ২০২১ সালের শেষ দিকে সে জ্যাভলিন থ্রো শুরু করে। প্রশিক্ষণ নেয় ইছাপুরের ‘বর্ধমান জেলা মাস্টার্স অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত সে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
চিকিৎসা করিয়ে শারীরিক অসুবিধা অনেকখানি দূর হয়েছে। তবে মাঠে নামার আধঘন্টা আগে তাকে ইনহেলার নিতে হয়। সেই ভাবেই সে এগিয়ে চলেছে। বাবা রূপলাল টুডুর মুদিখানা দোকান রয়েছে। ক্রীড়া সরঞ্জামের দাম চড়া। তাই কেউ আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করলে সুবিধা হবে অন্বেষার। তার কোচ দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় অন্বেষার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। শেষবার প্রায় ২১ বছর আগে জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টে মহিলা বিভাগে স্বর্ণপদক এসেছিল তৎকালীন অবিভক্ত বর্ধমান জেলায়। প্রায় দুই দশক পরে জেলায় ফের সোনা এনে দিল অন্বেষা। তার সাফল্যে খুশী জেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

