নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে ৫ বছর পরে গ্রেফতার বিজেপি বিধায়কের ভাইপো
পুলিশের খাতায় এতদিন অভিযুক্ত পলাতক ছিল
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে ২০২০ সালে দলেরই এক কর্মীর নাবালিকা কন্যাকে মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মী সহদেব ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে। এমনকি ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে ব্লাকমেল করার অভিযোগও ওঠে। সহদেব সম্পর্কে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের ভাইপো। ৫ বছর ধরে অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিয়ে ছিল বলে পুলিশের দাবি। মঙ্গলবার সকালে রাজবাঁধ এাকায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে।
ঘটনার পরেও নাবালিকার বাবা কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকেই সহদেব গা-ঢাকা দেয়। পুলিশ তাকে পলাতক ঘোষণা করে। আদালত তার সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দেয়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেন্ট জারি ছিল। সে গা-ঢাকা দিয়ে ছিল এতদিন। এদিন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
সহদেব নিজে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলে, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। ওই মেয়েটির সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল, তার পরিবারের সবাই জানতো। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হল।” সহদেবকে এদিন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক জামিন নাকচ করে জেল হাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “জোর করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। লাভ কিছু হবে না।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)


