এক বছরের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবে দুর্গাপুর! ঢালাও আশ্বাস দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: ‘টাকা নাও হিসাব দাও’, রাজ্যের পাওনা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের মাটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পা রাখার আগেই বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “রাজ্যের প্রাপ্য দু’লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।”এই প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য সরকার বলছে টাকা নেওয়াটা আমাদের অধিকার। হিসাব দেওয়াটা আমাদের অভ্যাসের মধ্যে পড়ে না।” বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএএমসি বা এইচএফসিএল কারখানা খোলা প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “এক বছরের মধ্যে দুর্গাপুরের উন্নতি মানুষ দেখতে পাবে। দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় সরকার বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। যে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় রাজ্য সমন্বয়ের মাধ্যমে তার পুনরুজ্জীবন হবে।”
১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দু’টি অনুষ্ঠান রয়েছে দুর্গাপুরে। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও জনসভা। দু’টিই নেহরু স্টেডিয়ামে। দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় থেকে জনসভাস্থল নেহরু স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ‘অঘোষিত’ রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথেই গান্ধীমোড় আসবেন। তার পর শুরু হবে রোড শো। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বিজেপি কর্মীরা দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। রোড শোয়ের পর নেহরু স্টেডিয়ামে এসে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
প্রশাসন ও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিভিসির রঘুনাথপুর ও মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্প্রসারণ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেলের দুর্গাপুর কলকাতা গ্যাস পাইপ লাইন, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া সিটি গ্যাস লাইন, তপশি ও পান্ডবেশ্বরে রেলওয়ে ওভারব্রিজ, ডিএসপির ব্লাস্ট ফার্নেসে সূচনা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সভা মঞ্চের পাশে অন্য একটি মঞ্চ থেকে এই প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করে তিনি জনসভায় অংশ নেবেন। সভাশেষে সড়কপথে ফের অন্ডাল বিমানবন্দরে যাবেন। সেখান থেকে বায়ুসেনার বিমানে উড়ে যাবেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)

