মদনপুরের ফরফরে পরিবারের দুর্গাপুজোয় ভিড় করেন হাজার হাজার ভক্ত

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের অণ্ডাল ব্লকের ফড়ফড়ে পরিবারের কুলদেবতা দেবী দুর্গার পুজোয় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। সপ্তমীর সকালে দামোদর থেকে ঘট আনার সময় মন্দির পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তায় দণ্ডি কাটেন ভক্তরা। অণ্ডাল ব্লকের মদনপুর গ্রামের এই পুজো আজও ঐতিহ্যে অমলিন।
ফরফরে পরিবারের প্রাচীন গোবি মাতার মন্দিরে রয়েছে দেবীর প্রাচীন পাথরের ছোট্ট একটি মূর্তি। দুই বেলা নিত্যসেবা হয়। তবে শুধু পরিবারের সদস্যরাই মূর্তি দেখতে পান। বাইরের কাউকে সেই মূর্তি দেখানোর নিয়ম নেই। তবে দুর্গাপুজোর সময় ডাকের সাজের প্রতিমা দিয়ে থাকেন ভক্তের দল।
প্রতিমা দেওয়ার জন্য রীতিমতো বহু আগে থেকে নাম লিখিয়ে রাখতে হয়। জানা যায়, এখন থেকে প্রায় ২৫ বছর পর্যন্ত প্রতিমা দেওয়ার জন্য অগ্রিম নাম নথিভুক্ত করে রেখেছেন ভক্তরা। হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় অষ্টমীর পুজোয়। ওই এলাকার মানুষ কোনও সমস্যায় পড়লে, দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে দেবীর মানসিক করে থাকেন।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
কথিত আছে, কয়েকশো বছর আগে বংশের গৃহবধূ গোবি ফড়ফড়ে মদনপুর গ্রাম লাগোয়া দামোদর নদের জল থেকে দেবীর শিলা মূর্তি পান। আর্থিক অনটনের জন্য তখন মন্দির গড়ে তোলা সম্ভব ছিল না। মাটির ঘরে তালপাতার ছাউনি দিয়ে শিলামূর্তির পুজো শুরু হয়। পরবর্তী কালে মুখে মুখে ওই মন্দিরের নাম হয় গোবি মাতার মন্দির। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)