বাইকে করে এসে হার ছিনতাইয়ের চক্র ধরে ফেলল কোক ওভেন থানার পুলিশ

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: আউসগ্রামের জঙ্গল দাপিয়ে ‘রঘু ডাকাতে’র শুটিং এ ব্যস্ত অভিনেতা দেব। ঠিক সেই সময়েই পুলিশে জালে লক্ষ্মী ডাকাত। দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিলাদের গলার হার ও কানের দুল ছিনতাই এর অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এই সব ঘটনায় জড়িত থাকা একটি দুষ্কৃতী চক্রকে ধরে ফেলল কোক ওভেন থানার পুলিশ। এরা বাইকে করে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় থাকা মহিলাদের টার্গেট করত। মূলত দুপুর থেকে সন্ধ্যা লাগার আগে পর্যন্ত ছিনতাই করত তারা।
সম্প্রতি কোক ওভেন থানা এলাকায় একটি হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এরপরেই পুলিশের তরফে গোপনে নজরদারি শুরু হয়। বুধবার বিকাল ৫ টা নাগাদ ডিপিএল কলোনি এলাকায় নম্বর প্লেট বিহীন গাড়িতে দু ‘জন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখে তাড়া করে কোক ওভেন থানার পুলিশ। একজনকে শেষ পর্যন্ত পাকড়াও করে ফেলে। কিন্তু অন্যজন তীব্র গতিতে বাইক ছুটিয়ে পালিয়ে যায়।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
ধৃতের নাম মনিরুল মিদ্দা। বয়স ৪০। বড়জোড়ার বাসিন্দা। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকায় মহিলাদের সোনার হার ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তারা ঘুরছিল। তারা কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বোলপুর থেকে এই চক্রের আর একজনকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, সেই দলের পান্ডা। তার নাম লক্ষ্মী সাহানি। বয়স প্রায় ৫০। তার নামে দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন থানায় অপরাধের কেস রয়েছে।
দিনের আলোয় হোক বা রাতের অন্ধকার, তার কাছে চুরি, ছিনতাই কোন ব্যাপারই না। মহিলাদের সোনার চেন নজর পড়লেই কয়েক সেকেন্ডে গলা থেকে ছিঁড়ে নিয়ে চলে যেত। পকেট কাটতেও লক্ষ্মী ওস্তাদ। সুযোগ পেলে ফাঁকা বাড়িও সাফ করে দিত। ছোটখাটো ডাকাতিও সে করত। তার সাগরেদ হল মনিরুল মিদ্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, লক্ষ্মীর দুই পা ভাঙা. কোমরেও রয়েছে সমস্যা। তা সত্বেও অপরাধমূলক কাজে তার জুড়ি মেলা ভার! ধৃত দুই জনকে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হচ্ছে। তাদের জেরা করে পুরো চক্রের হদিশ পেতে পুলিশ ১০ দিনের জন্য হেফাজতের আবেদন করেছে।
