দুর্গাপুর দর্পণ, মানকর: একমাত্র ডাক্তার গিয়েছেন প্রসূতির অস্ত্রোপচার করতে। সেই সময় বুকে ব্য়থা নিয়ে হাসপাতালে আসেন রোগী। কার্যত বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়। প্রতিবাদে পরিজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বুদবুদ থানার মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
জানা গিয়েছে, কোটা গ্রামের মাধব বাদ্যকর (৫৬) শুক্রবার সকালে বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যান। অভিযোগ, হাসপাতালে আসার পর থেকেই একবার আউটডোর একবার ইমার্জেন্সি করতে করতে মাধববাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরপর তাঁদের একটি ইনজেকশন কিনে আনতে বলা হয়। একজন নার্স সেই ইনজেকশন দেওয়ার পরেই মৃত্যু হয় রোগীর। এরপরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয় পরিজন।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
তাঁদের অভিযোগ, প্রথমে বলা হয় একজন চিকিৎসক আছেন। তিনি অস্ত্রোপচারে ব্যস্ত আছেন। রোগীকে নিয়ে আউটডোরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একজন নার্স রয়েছেন, ডাক্তার নেই। সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে আবার ইমার্জেন্সিতে আসেন তাঁরা। এবার একটি ইনজেকশন দেওয়া হয় মাধববাবুকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় মাধববাবুর। হাসপাতালে বিক্ষোভের খবর পেয়ে আসে বুদবুদ থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে মৃতের আত্মীয় পরিজনদের বচসা হয়। হাসপাতালের ভেতর ঢুকে পড়েন রোগীর পরিজনেরা।
তাঁদের ক্ষোভ, গতকাল কোটা গ্রামের আর এক বাসিন্দা এই হাসপাতালে মারা যান। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয় হাসপাতালের মূল গেটের সামনে। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানকর গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, কেন রোগীকে ভর্তি করে নেওয়া হয়নি? কেন তাঁকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হলো না? (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।