শিবরাত্রিতে রাঢ়েশ্বর শিব মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়

দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের আড়ায় রয়েছে রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির। কথিত আছে, রাজা বল্লাল সেনের জটিল রোগ নির্মূল হয়েছিল রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির স্থাপন করে। আজও অলৌকিক সেই মন্দিরে ভক্তদের ভিড় জমে শিবরাত্রির দিনে। ভক্তিভরে শিবলিঙ্গে জল ঢাললে মনস্কামনা পূর্ণ হয় বলে তাঁরা বিশ্বাস করেন।
জানা যায়, গড় জঙ্গলে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন রাজা বল্লাল সেন। তিনি এক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। রাজ কবিরাজরা ব্যর্থ হন। কথিত আছে, তেমন সময়ে দেবাদিদেব মহাদেবের স্বপ্নাদেশে পান রাজা। আড়ার কালদিঘি পুকুরের পাশে রাঢ়েশ্বর শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ পান। পুকুরের পাশে পূর্ব ভারতের বেলে ও ঝামা পাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয় রাঢ়েশ্বর শিব মন্দির।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
সেই মন্দিরের ভেতর শিবলিঙ্গ রেখে দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা শুরু করেন রাজা বল্লাল সেন। অলৌকিকভাবে তাঁর জটিল রোগ নির্মূল হয়ে যায়। সেই সময় থেকেই নিত্যপুজো চলে আসছে মন্দিরে। বিশেষ বিশেষ দিনে হয় পুজোপাঠ। বুধবার শিব রাত্রির সন্ধিক্ষণে সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তদের আনাগোনা শুরু হয়েছে মন্দিরে। সকাল থেকেই চলছে পুজোপাঠ। শিবের মাথায় জল, দুধ ঢেলে অনেকে মানত করছেন। ভক্তদের জন্য দুপুরে রয়েছে অন্নকুটের ব্যবস্থাও।
মন্দিরের সেবাইত বলেন, “এই মন্দির নিয়ে রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনী। ভক্তিভরে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ করেন বাবা। প্রচুর ভক্তের ভিড় হয় বিশেষ বিশেষ দিনে। বর্তমানে মন্দিরটি পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধীন। ভক্তদের যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে নজরদারি চালায় পুলিশ ও মন্দির কমিটি।” পুজো দিতে এসে তপতী কর নামের এক মহিলা বলেন, “প্রতিবছরই আসি শিবরাত্রিতে পুজো দিতে। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
