দুর্গাপুর: জয়েন্ট বিডিওর নাম করে চাকরির টোপ দিয়ে সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে কাঁকসায়। বিডিও অফিসে শূন্যপদ রয়েছে। তা জানিয়ে জয়েন্ট বিডিওর নাম করে আশা কর্মীকে ফোন করা হয়। পরীক্ষার ফি এবং থাকা খাওয়ার নামে ধাপে ধাপে টাকা নেওয়া হয়। কাজ বুঝিয়ে দিতে ডাকা হয় বিডিও অফিসেও। পরে বোঝা যায় এটি আসলে একটি সাইবার প্রতারণার ঘটনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।
কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া এলাকার আশা কর্মী শম্পা সাহার কাছে গত ৩০ ডিসেম্বর কাঁকসার জয়েন্ট বিডিওর নাম করে একটি ফোন আসে। বলা হয়, এলাকার দুস্থ ছেলে মেয়ে থাকলে যোগাযোগ করতে বলুন। খবর পেয়ে এলাকারই আর এক আশা কর্মী বর্ণালী রায় গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে জিষ্ণু সেই নম্বরে ফোন করে। তাকে বলা হয়, ব্লক অফিসে কাজের জন্য শিলিগুড়িতে একটি পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার ফি বাবদ নেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা। এরপর শিলিগুড়িতে থাকা খাওয়ার খরচ হিসেবে ফের নেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা। পরে আরও একটি ফর্ম ফিল আপের জন্য আরও ৩ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তবে সন্দেহ হওয়ায় আর সে টাকা দেয়নি।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
কিছুক্ষণ পর ফের তাকে ফোন করে ২ জানুয়ারি সকালে বিডিও অফিসে গিয়ে কাজ বুঝে নিতে বলা হয়। কিছুক্ষণ পর আবার ফোনে জানানো হয়, দুপুরে বিডিও অফিস যেতে হবে। তখন সে বুঝতে পারে, জয়েন্ট বিডিওর নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে। বর্ণালী রায় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার ছেলে দুই দফায় ৬ হাজার টাকা দিয়েছে। সহকর্মী শম্পা সাহার কাছে খবর পেয়েই আমার ছেলে যোগাযোগ করেছিল। পরে শম্পা জানায়, এটা প্রতারণা। কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আশা কর্মী হিসাবে সামান্য বেতন পাই। তারপরে এত টাকা চলে গেল!” কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল বলেন, “মানুষকে সচেতন হতে হবে। কোনও সরকারি আধিকারিকের নাম করেও যদি কেউ টাকা চায় তাকে দেবেন না। প্রয়োজন হলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তদন্ত শুরু হয়েছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।