সনাতন গড়াই, কাঁকসা: কাঁকসার বাবুপাড়ার রায় বাড়ির পুজোর ইতিহাস অনেক প্রাচীন। কেউ বলেন তিনশো বছর, কেউ বলেন চারশো বছর। পুজোর প্রবর্তন করেছিলেন রায় বাড়ির আদি পুরুষ হরচন্দ্র রায়। তিনিই দুর্গামন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে আরও দুটি শিব মন্দির গড়ে ওঠে। বংশপরম্পরায় রায় বাড়ির দুর্গাপুজো চলে আসছে আজও। পুজো উপলক্ষে কর্মসূত্রে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিবারের সদস্যরা পুজোর কয়দিন বাড়ি ফিরে আসেন।
রথযাত্রার দিনে দেবীর কাঠামোয় মাটি পড়ে। এর পর ধাপে ধাপে প্রতিমা গড়ার কাজ চলতে থাকে। শিল্পীরাও বংশ পরম্পরায় মা দুর্গার প্রতিমা গড়ে আসছেন। পার্শ্ববর্তী জেলা বীরভূম থেকে ঢাকি আসেন ঢাক নিয়ে। অষ্টমীতে আজও নিয়ম মেনে শ্বেত পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। আজও অষ্টমীতে গড় জঙ্গলে দেবী শ্যামরূপা মন্দিরে বলিদানের পরে কাঁসর ঘণ্টার আওয়াজ পাওয়ার পরে এখানে বলিদান হয়।
( BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
পরিবারের বর্তমান সদস্য ভাস্কর রায় বলেন, আমাদের এই মন্দির সাড়ে চারশো বছরের বেশি পুরনো। মন্দির স্থাপন করেছিলেন হরচন্দ্র রায়। ওনার বংশধর হিসাবে তাঁর দেখানো পথেই পুজো করে আসছি আমরা। পুজোর সময় পরিবারের যে যেখানেই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, সবাই ফিরে আসেন বাড়িতে। গড় জঙ্গলের পুজোয় বলির পরে কাঁসর ঘন্টার আওয়াজ শুনে আমাদের এখানে বলিদান হয়। অষ্টমীতে শ্বেত পাঁঠা বলি দিতে হয়। (বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।