বিশেষ আদালতে গেল দুর্গাপুর মেডিক্যাল ছাত্রী নির্যাতন মামলা, হল না চার্জ গঠন
চার্জ গঠন আটকে দিলেন অভিযুক্তের আইনজীবী
সুজয় ভট্টাচার্য, দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের মেডিক্যাল ছাত্রী নির্যাতন মামলার ট্রায়াল শুরু হল বিশেষ আদালতে। মঙ্গলবার এডিজে ফার্স্ট কোর্ট থেকে মামলাটি বিশেষ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন বিচারক মহম্মদ আকিল সইফি। এরপর বিচারক লোকেশ পাঠকের এজলাসে দ্বিতীয়ার্ধে ট্রায়াল প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও সরকারপক্ষ সেদিনই চার্জ গঠন চাইলেও, এক অভিযুক্তের আইনজীবীর আপত্তিতে তা স্থগিত থাকে। আগামী ১০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর রাতে ওড়িশার এক মেডিক্যাল ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় বিজড়া গ্রাম ও মালদা থেকে মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতেরা—ফিরদৌস শেখ, রিয়াজউদ্দিন শেখ, অপু বাউড়ি, নাসিরুদ্দিন শেখ, সফিক শেখ এবং ছাত্রীর সহপাঠী ওয়াসিফ আলি। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা করে পুলিশ। আদালত সূত্রে জানা যায়, সহপাঠীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের ধারা ও আরও তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা দায়ের হয়েছে। এছাড়া ডাকাতি, চাঁদাবাজি সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে সবার বিরুদ্ধেই।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
মঙ্গলবার সহপাঠী অভিযুক্তের হয়ে আইনজীবী অনুভব উপাধ্যায় অভিযুক্তকে নির্দোষ দাবি করে ‘ডিসচার্জ পিটিশন’ দাখিল করেন। তাঁর দাবি, “চার্জশিটের প্রমাণ আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট নয়।” সরকারপক্ষের বিশেষ আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন, “পরিকল্পিতভাবে বিলম্ব ঘটানো হচ্ছে।” বিচারকও আইনজীবীর যুক্তিতে সম্মতি জানিয়ে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দেন। ১০ নভেম্বর ডিসচার্জ পিটিশনের শুনানি হবে। তারপরই ঠিক হবে চার্জ গঠন কবে হবে। মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় আদালত সব পক্ষকেই সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)


