স্কুলে সিগারেট কাণ্ড: নেপালিপাড়া হাইস্কুলে তাণ্ডব, শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকি

দুর্গাপুরের স্কুলে ধূমপান কাণ্ড ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ শিক্ষক মহলে
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: স্কুলে শৌচাগারে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুল। নবম শ্রেণির দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা লুকিয়ে সিগারেট টানছিল। বিষয়টি জানাজানি হতেই তলব করা হয় দুই ছাত্রের অভিভাবককে। একজন অভিভাবক এসে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না হওয়ার আশ্বাস দেন। অভিযোগ অন্য ছাত্রের পরিবার স্কুলে গিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়।
অভিযোগ, অভিযুক্ত ছাত্রের বাবা ও কাকা স্কুলে ঢুকে তিন ঘণ্টা ধরে চিৎকার চেঁচামিচি করেন। কখনও ক্লাসরুমের দরজায় লাথি, কখনও লোহার গ্রিল ঝাঁকিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেন। এমনকী শিক্ষক–শিক্ষিকাদের উদ্দেশে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ড. কলিমুল হক জানান, ২৩ আগস্ট ঘটনাটি ঘটে। ২৫ আগস্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত স্থানীয় কোকওভেন থানার পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত করা হয়। অভিযুক্ত দুই অভিভাবককে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আইন মেনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রয়োজনে বিষয়টি তিনি রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে জানাবেন। তিনি পুলিশ কমিশনারকে ইমেল করে বিষয়টি জানাবেন বলে জানিয়েছেন। স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি মুকুটকান্তি নাহা বলেন, “শিক্ষক–শিক্ষিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার মানা যায় না। অভিযুক্ত অভিভাবকের ক্ষমা চাওয়া উচিত।” অভিযুক্ত ছাত্রের কাকা খুরশিদ আলি বলেন, “স্কুলে গিয়ে তান্ডব চালানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমার দাদা অভিযোগ বিশ্বাস করতে চাননি। তিনি নিকোটিন টেস্ট করাবেন বলেন। তাতে এক শিক্ষক রেগে গিয়ে ডিএনএ টেস্ট করতে বলেন। এতে দাদা রুষ্ট হন। পুলিশ আমাদের ডেকেছিল। কথা হয়েছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
