এ এক অন্য প্রধানের গল্প! দিনমজুরি করেন, থাকেন ভাঙা বাড়িতে, যাতায়াত করেন সাইকেলে

দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: মায়ের সঙ্গে দিনমজুরি করেন। থাকেন টালির চালের বাড়িতে। খাট বা চৌকি কিছু নেই। চাটাইয়ের উপর শুয়ে রাত কাটে। পঞ্চায়েতে আসা যাওয়া করেন সাইকেলে। তিনি কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষ্মীমণি টুডু। জাটগড়িয়া গ্রামের জরাজীর্ণ বাড়িতে থাকেন বছর ২৬ এর লক্ষ্মীমণি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে লক্ষ্মীমণি মায়ের সাথে দিনমজুরের কাজে চলে যান। ১০টা বাজলে সাইকেল নিয়ে ৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে যেতে যেতে শোনেন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা। পঞ্চায়েত কার্যালয়ে গিয়ে সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করেন। দিন শেষে আবার সাইকেল নিয়ে গ্রামে বাড়িতে ফিরে আসেন।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
জরাজীর্ণ টালির ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে ধরেছে ফাটল। টালির চালেও ফুটো। খাট নেই। তাই চাটাইয়ের উপর বিছানা পেতে ঘুমান রাতে। তারপরেও আবাস যোজনার বাড়িতে লেখাননি নাম। কারণ, তিনি চান আগে এলাকার মানুষকে আবাস যোজনার সুবিধা পাইয়ে দিতে। শেষে তিনি নিতে চান সরকারি বাড়ি। প্রধান হয়েও এভাবেই সাদামাটা জীবন যাপন করে চলেছেন তিনি।
পঞ্চায়েতের পরিষেবা পেয়ে খুশি গোপীনাথ বাস্কে বলেন, “আমরা এরকম প্রধানই চেয়েছিলাম। নিজে কষ্ট করে ৩ কিলোমিটার দূর থেকে সাইকেল চালিয়ে পঞ্চায়েতে আসেন। আমাদের কোনওদিন পরিষেবা নিতে এসে ঘুরে যেতে হয়নি।” লক্ষ্মীমণি বলেন, “আমাদের পাকা বাড়ি নেই। কষ্ট করেই থাকি মাটির বাড়িতে। কষ্ট হয় সাইকেল নিয়ে পঞ্চায়েতে যেতে। কিন্তু এভাবেই আমি থাকতে চাই। আমার কাছে যে যা সমস্যা নিয়ে আসেন আমি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করি। সবাইকে পরিষেবা দেওয়ার পর আমি নিজে নিতে চাই।” প্রধানের এই ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
