দুর্গাপুর গণধ*র্ষ*ণ কাণ্ডে সহপাঠীকে আচমকা গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত পুলিশের, কেন?

নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই তিন দিন পরে গ্রেফতার সহপাঠী
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: শুক্রবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ বিজড়া ডাঙাপাড়ার শেখ রিয়াজউদ্দিন, ফিরদৌস শেখ, নাসিরুদ্দিন শেখ ওরফে সম্রাট, সফিক শেখ এবং বিজড়া বাউড়িপাড়ার অপু বাউড়িকে গ্রেফতার করে। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী তাঁর এক সহপাঠী ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তার পাশের জঙ্গলে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মঙ্গলবার সকালে রিয়াজউদ্দিন ও নাসিরুদ্দিনকে নিয়ে বিজড়া গ্রামে যায় পুলিশ। দুর্গাপুর থানা ও নিউটাউনশিপ থানার যৌথ টিম তাদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে জেরায় পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখে। তদন্তকারীরা কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। একই সঙ্গে এদিনই ধৃতদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে হাসপাতাল থেকে শুরু হয় প্রক্রিয়া। গোটা রাস্তা ও ঘটনাস্থল প্রথমে রেকি করে পুলিশ।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
এরপর ধৃতদের জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে সবার নজর এড়িয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। কিছুক্ষণ পরে আনা হয় অভিযুক্ত সহপাঠীকে। তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে দীর্ঘক্ষণ সব কিছু খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সন্ধ্যায় পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী বলেন, “ধৃতদের এবং সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়েছে। ধৃত ও সহপাঠীর পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। এখন পর্যন্ত যা টেকনিক্যাল প্রমাণ মিলেছে এবং নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, একজন ধর্ষণ করেছে। বাকিদের কার কী ভূমিকা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সহপাঠীর আচরণ সন্দেহের উর্ধে নয়। ওকে আমরা বার বার জেরা করছি। ওর কী ভূমিকা তা নিশ্চিত ভাবে জানার পরে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ হবে।”
এর কিছুক্ষণ পরেই জানা যায়, সহপাঠীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন এই সিদ্ধান্ত? মনে করা হচ্ছে, নির্যাতিতার বাবা প্রথম থেকে সহপাঠীকেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে দাবি করে আসছিলেন। লিখিত অভিযোগেও তার নাম দিয়েছিলেন। তা সত্বেও পুলিশ এতদিন তাকে গ্রেফতার করেনি। এই প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার বাবা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাতে শুরু করেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পুলিশ কমিশনারেট মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে থাকা সব অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরেও সহপাঠীকে শুধু গ্রেফতার না করার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। পুলিশের কাছে সহপাঠীর আচরণ নিয়ে আগেই সন্দেহ ছিল। এই প্রেক্ষিতে আর দেরি করতে চায়নি পুলিশ। দ্রুত নির্দিষ্ট প্রমাণ জোগাড় করে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও, পুলিশ কর্তারা এই বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )