দুর্গাপুর: কলকাতার বাইরে জেলায় প্রথম সফল কিডনি প্রতিস্থাপন করার কৃতিত্ব অর্জন করল দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল। কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ গড়ে প্রায় ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ বাদে বাকি খরচ বহন করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই। হাসপাতালের এমন সহযোগিতায় আপ্লুত রোগীর পরিবার।
আসানসোলের ডিসেরগড়ের বছর ৩৫ এর পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছিলেন। মিশন হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ডায়ালিসিস চলছিল তাঁর। চিকিৎসকেরা বুঝতে পারছিলেন, কিডনি প্রতিস্থাপন করা ছাড়া বাঁচানো যাবে না পার্থকে। তাঁর বাবা পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রী উজ্জ্বলবাবু ছেলেকে দক্ষিণ ভারতে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানেও চিকিৎসকেরা একই কথা বলেন। বাড়ি ফিরে উজ্জ্বলবাবু ছেলেকে নিয়ে মিশন হাসপাতালে যান। তিনি জানান, নিজের একটি কিডনি তিনি দান করবেন।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কিডনি প্রতিস্থাপনের সরকারি অনুমোদন থাকলেও এতদিন নানা কারণে তা শুরু হয়নি।উজ্জ্বলবাবু ছেলের জন্য কিডনি দান করবেন, তা জানার সঙ্গে সঙ্গে আর কালক্ষেপ করেননি কর্তৃপক্ষ। কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন তাঁরা। আগে কখনও কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়নি। তাই বাড়তি সতর্কতাও নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ১৫ সেপ্টেম্বর উজ্জ্বলবাবুর শরীর থেকে একটি কিডনি নিয়ে তা প্রতিস্থাপিত করা হয় তাঁর ছেলে পার্থর শরীরে। ১ অক্টোবর সুস্থ হয়ে বাড়ি যান পার্থ।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. সত্যজিৎ বসু জানান, এই সাফল্যের পিছনে নেফ্রোলজি বিভাগের ডা. দীপক কুমার, ডা. রবি রঞ্জন সৌ মন্ডল ও ডা. দীপেশ ধুত সহ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। বাবা ও ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। উজ্জ্বলবাবু বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া আমার হাতে কিছুই ছিল না। এর বাইরে বাকি খরচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করেছেন। তা না হলে আমার পক্ষে কিডনি প্রতিস্থাপনের বিপুল খরচ জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। চিকিৎসকদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।