মিশন হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নজিরবিহীন ক্যান্সার অপারেশন

মিশন হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নজিরবিহীন ক্যান্সার অপারেশন
WhatsApp Group Join Now
Instagram Group Join Now

ল্যাপারোস্কোপিক টোটাল গ্যাস্ট্রেক্টমিতে নতুন দিগন্ত দুর্গাপুরে

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের জন্য প্রথমবারের মতো সফলভাবে ল্যাপারোস্কোপিক টোটাল গ্যাস্ট্রেক্টমি এবং অ্যানাস্টোমোসিস (Laparoscopic Total gastrectomy and anastomosis for Gastric Cancer) সম্পন্ন করা হল। এত বিশাল কর্মকাণ্ড, তাও আবার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে! সারা রাজ্যের জন্য যা একটি নজির। চিকিৎসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল কলকাতায় নয়, দুর্গাপুরে।

পুরুলিয়ার ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বারবার রক্ত ​​বমি এবং অত্যন্ত কম ওজনের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন মিশন হাসপাতালে। এন্ডোস্কোপি, সিটি স্ক্যান সহ নানা পরীক্ষায় খাদ্যনালী যেখানে পাকস্থলীর সঙ্গে মিশছে, সেই গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল জংশনে ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রথমে তাঁকে ওপেন টোটাল গ্যাস্ট্রেক্টমি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের তরফে তাঁর কষ্ট ও ব্যথা লাঘব করার জন্য মিনিম্যালি ইনভেসিভ পদ্ধতি প্রয়োগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। দেশের কোনও মহানগরী নয়, দুর্গাপুরের মতো শহরের একটি হাসপাতালেই সফল ভাবে সেই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠলেন রোগী।

(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)

মিশন হাসপাতালের বিখ্যাত গ্যাস্ট্রোসার্জেন, ডাঃ বিজিত সাহা (MS, MCh Gastrosurgery & HPB Surgery, AIIMS), জটিল ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াটি সম্পাদনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই অস্ত্রোপচারে পাকস্থলী সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা হয় এবং একটি সূক্ষ্ম ল্যাপারোস্কোপিক এসোফাগোজেজুনোস্টমি (laparoscopic esophagojejunostomy) তৈরি করা হয়- যা খাদ্যনালীকে সরাসরি ক্ষুদ্রান্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে। কার্যত কোনও রক্তপাত ছাড়াই অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন হওয়ায় রোগী দ্রুত আরোগ্য করেন। রোগীকে মাত্র একদিনের জন্য ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের পরের দিন সকালে তাঁকে হাঁটানো হয় এবং তাঁর মূত্রনালীর ক্যাথেটার খুলে দেওয়া হয়।

অস্ত্রোপচারের ষষ্ঠ দিনে আর কোনও জটিলতা ছাড়াই তিনি বাড়ি চলে যান। রোগী এবং তাঁর পরিবারের বক্তব্য, ন্যূনতম ব্যথা অথচ সবথেকে তাড়াতাড়ি উপশমকারী নতুন এই অস্ত্রোপচার পদ্ধতির সত্যিই তুলনা নেই। ডাঃ বিজিত সাহা বলেন, “জটিল ক্যান্সার সার্জারি শুধুমাত্র ওপেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেই করতে হবে, আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে অত্যন্ত নিরাপদ এবং কার্যকরভাবে করা সম্ভব। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হওয়া অসম্ভব নয়।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।

Highlight
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রাজ্যে প্রথম গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ল্যাপারোস্কোপিক টোটাল গ্যাস্ট্রেক্টমি করে নজির গড়ল মিশন হাসপাতাল
News
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রাজ্যে প্রথম গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ল্যাপারোস্কোপিক টোটাল গ্যাস্ট্রেক্টমি করে নজির গড়ল মিশন হাসপাতাল
:
কিন্তু পরিবারের তরফে তাঁর কষ্ট ও ব্যথা লাঘব করার জন্য মিনিম্যালি ইনভেসিভ পদ্ধতি প্রয়োগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। দেশের কোনও মহানগরী নয়, দুর্গাপুরের মতো শহরের একটি হাসপাতালেই সফল ভাবে সেই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠলেন রোগী।
Published By

আরও খবর

error: Content is protected !!