দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: গত ২৮ আগস্ট বিজেপির ডাকা বনধের দিনে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে মিছিল বের করেছিল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই, মহিলা সমিতি সহ অন্যান্য সংগঠন। সেই মিছিলে হামলা হয়। রাস্তায় বোমা ছোড়া হয়। সিপিএমের দলীয় কার্য্যালয়ে বোমাবাজি, ভাঙচুর করা হয়।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
বুধবার দুপুরে সেই ঘটনা তদন্তে এল ফরেন্সিক বিভাগ। চার সদস্যের একটি দল এদিন শহিদ বিমল দাশগুপ্ত ভবন এবং দুর্গাপুর নগর নিগম মোড়ে যেখানে বোমা ছোড়া হয়েছিল সেই জায়গার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। নমুনা সংগ্রহের ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয়। দুর্গাপুরে ফরেন্সিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তন্ময় কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ গিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। শহিদ বিমল দাশগুপ্ত ভবন এবং নগর নিগম মোড়ে পরীক্ষা করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তে যা উঠে আসবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এবং পুলিশকে জানানো হবে।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পার্থ দাস বলেন, “আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করছিল ডিওয়াইএফআই ও ছাত্র যুবরা। তখনই দুর্গাপুর নগর নিগম থেকে আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বেরিয়ে এসে মিছিলে হামলা চালায়। বোমাবাজি করা হয়। ব্যপক মারধোর করা হয় কর্মীদের। এক সপ্তাহ পরে পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতে ফরেন্সিক বিভাগকে এনে আইওয়াশ করা হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত বিচার না হচ্ছে আমাদের প্রতিবাদ চলবে।”
যদিও তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “এখন ফরেন্সিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। বাম সরকারের সময়কালে তৃণমূলের লোকেরা বাম নেতাদের নামে অভিযোগ করাই যেত না। সবটাই লোকাল কমিটির অফিসে বসে ঠিক করা হতো। সিপিএমের জেলা সম্পাদকের মুখের অশালীন ভাষা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। তাঁর মুখের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো দরকার। মানুষ সব জবাব দেবে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।