মেয়েরা ব্যাগে ব্লেড, ছুরি, সেফটি পিন রাখো! বিধায়কের মন্তব্যে হুলস্থুল দুর্গাপুরে

নির্যাতিতার ন্যায়ের জন্য সিটি সেন্টারে বিজেপির ধরণা
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ বিজড়ার ৫ যুবকের পাশাপাশি গ্রেফতার করেছে তাঁর সহপাঠী মালদহের কালিয়াচকের সিলামপুরের ওয়াসেফ আলিকে। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী ওয়াসেফের সঙ্গেই শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তার পাশের জঙ্গলে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
সেই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে আসল দোষীদের শাস্তির দাবিতে সিটি সেন্টারে ৬ দিনের ধরণা মঞ্চ করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চের সূচনা করে যান। তারপর থেকে প্রতিদিন দলের বিভিন্ন নেতা, বিধায়ক, সাংসদরা আসছেন। মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন। শনিবার তেমনই এসেছিলেন দলের নেতা কৌস্তভ বাগচি, সজল ঘোষ, বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি প্রমুখ।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
চন্দনা বাউড়ি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার ও পুলিশ মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। মেয়েদের নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই দিতে হবে। আমি নিজে দুই মেয়ের মা। তাই বলছি, মেয়েরা স্কুল, কলেজে যাওয়ার সময় ব্যাগে ব্লেড, ছুরি, সেফটি পিন বা ছোট কোনও অস্ত্র রাখো। এছাড়া উপায় নেই। বিজেপি বিধায়কের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, এই সব পরামর্শ দিয়ে বিজেপি সামাজিক ভাবে অশান্তি ছড়াতে চাইছে। নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানো নয়, ধরণা মঞ্চ করে রাজনীতি করছে ওরা।
সজল ঘোষ বলেন, আমরা নির্যাতিতার বাবার পাশে আছি। আর যদি রাজনীতি করি বেশ করেছি। মুখ্যমন্ত্রী রিজওয়ানুরকে নিয়ে করেননি? চম্পলা সর্দারকে নিয়ে করেনি? ফেলানি বসাককে নিয়ে রাইটার্সে ঢুকে পড়েনি? বিরোধীরা তো প্রতিবাদ করবেই। কৌস্তভ বলেন, এই রাজ্যে ধর্ষকদের শাস্তি হয় না। তাই তারা উৎসাহ পায়। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এখানে যোগী থেরাপি হবে। এনকাউন্টার হোক বা যাই হোক, আমরা চাই ধর্ষকদের মনে যেন ভয় তৈরি হয়। উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের হার দ্রুত কমছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )