পান্ডবেশ্বরে স্ত্রীর জন্য পথেঘাটে সাহায্যের আকুতি স্বামীর

অর্থের অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা বন্ধ
দুর্গাপুর দর্পণ, পান্ডবেশ্বর: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) পান্ডবেশ্বরের শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত ভুঁড়ি গ্রামে বসবাস করেন রাহুল বাদ্যকর। দিনমজুরির সামান্য আয়ে কোনোরকমে সংসার চালান তিনি। ২০২০ সালে অনিতা বাদ্যকরের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। সংসারে আসে এক কন্যা সন্তান, জীবন চলছিল স্বাভাবিক ছন্দেই। কিন্তু সন্তান জন্মের প্রায় সাত মাস পর থেকেই অনিতা চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করেন।
দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। একে একে দুর্গাপুরের বিভিন্ন নামী হাসপাতাল থেকে শুরু করে ব্যাঙ্গালোর পর্যন্ত ছুটেছেন রাহুল। সেখানে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু চিকিৎসার জন্য যা কিছু সঞ্চয় ছিল, সবই এক সময় শেষ হয়ে যায়। অবশেষে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাঁদের। বর্তমানে অনিতা পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। আর্থিক অনটনের কারণে তাঁর চিকিৎসা আর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
বাড়িতে ফুটফুটে কন্যা সন্তান। স্ত্রী অনিতা প্রায় চার বছর ধরে চোখে দেখতে পান না। রাহুল এখন নিত্যদিন স্থানীয় দোকানপাট থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহায্য চাইছেন। রাহুলের একটাই আশা— যদি কোনও সহৃদয় মানুষ আর্থিকভাবে পাশে দাঁড়ান, তাহলে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁর স্ত্রী আবার দৃষ্টি ফিরে পেতে পারেন। এই আশাতেই দিন গুনছেন রাহুল ও অনিতা। স্থানীয় বাসিন্দা কাজি ফজল বলেন, আমরা সবাই যার যা ক্ষমতা সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই অনিতা দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাক। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
