মলানদিঘি পঞ্চায়েতে সময়ের কোনও দাম নেই! ঘড়িও পিছিয়ে থাকে এখানে

‘রোদ-বৃষ্টি মেপে খোলে পঞ্চায়েত অফিস’!
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: বেলা দশটা না এগারোটা, তা বুঝে উঠতে একটু গোলমাল হচ্ছিল পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতে। কারণ, পঞ্চায়েত অফিসের ঘড়িটাই যে দশ মিনিট পিছিয়ে। হয়তো ঘড়িটাও বুঝে গিয়েছে, ওখানে সময়ের দাম তেমন কিছু নেই!
সরকারি নিয়ম বলছে, সকাল দশটায় অফিস খুলবে। কর্মচারীরা এসে হাজির হবেন। কিন্তু বাস্তব বলছে, এগারোটায়ও দেখা নেই সরকারি কর্মচারীদের। প্রধান? উপপ্রধান? কেউ নেই! পঞ্চায়েতের সামনের চায়ের দোকানে দেখা গেল এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায়কে, যিনি বেশ ফুরফুরে মেজাজে চায়ে চুমুক দিচ্ছেন। প্রশ্ন করলে হেসে বললেন, “প্রধান আসেননি, উপপ্রধান আসেননি, সরকারি কর্মচারীরাও আসেননি।” মানে, অফিসের দরজা খোলা থাকলেও, কাজ কিছু হবে না।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
পঞ্চায়েতের ভিতরে গিয়ে দেখা গেল, একজন অস্থায়ী কর্মী অফিসের ভেতরে চুপচাপ বসে আছেন, আরেকজন বাইরে। তাঁরা জানেন না, অফিস ঠিক কখন খোলে। এসব দেখেশুনে এক পথচারী বললেন, “এই অফিসটা বুঝি রোদ-বৃষ্টি মেপে খোলে!” সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় একটু খোঁচা দিয়ে বলেন, “পরিষেবা কিছুটা পাই ঠিকই, কিন্তু কর্মীরা সময়ে আসেন না। উন্নয়নের জোয়ারে ওনারা যেন একটু বেশি ভেসে গিয়েছেন!” তবে বিষয়টা যে মেনে নেবেন না, সাফ জানিয়ে দিলেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি নব কুমার সামন্ত। তিনি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, খতিয়ে দেখব। যদি সত্যি এমন কিছু ঘটে থাকে, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এখন দেখা যাক—সত্যিই পরিস্থিতি বদলায় কী না! (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
