জরাজীর্ণ পাম্প হাউসে থাকেন ৫৬ বছরের মঙ্গল মাড্ডি

দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) কাঁকসার বিদবিহারের স্থায়ী বাসিন্দা। সচিত্র পরিচয়পত্র রয়েছে। কিন্তু তাঁর স্থায়ী বাসস্থান নেই। ৫৬ বছরের মঙ্গল মাড্ডি তাই থাকেন জরাজীর্ণ পাম্প ঘরে। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পঞ্চায়েত।
মঙ্গল জন্মেছিলেন বীরভূমের ইলামবাজারে। ছেলেবেলাতেই বিদবিহারের সুতা ডাঙায় মা-বাবার সাথে মামার বাড়িতে চলে আসেন। সেখানেই থাকতেন। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড হয়ে যায়। সেখানেই একটি বাড়ি তৈরি করে ছেলে-বউকে নিয়ে দিব্বি সংসার চলছিল। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে যায় সেই মাটির বাড়ি। একই সঙ্গে তার জীবনে নেমে আসে আরও অমঙ্গল।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
ছেলে, বউ তাকে ছেড়ে চলে যায়। নিজস্ব জমি না থাকায় আর্থিক অনটনের জেরে চরম সংকটের মধ্যে পড়েন তিনি। গ্রামের বাইরে জরাজীর্ণ একটি পাম্প ঘরে তাঁর ঠাঁই হয়। সেখানেই বাস করছেন কয়েক বছর ধরে। তাঁর দাবি, কয়েকবার টিবিতে আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ির জন্য পঞ্চায়েতে আবেদনও করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দিনমজুরের কাজ করে যেটুকু আয় হয় তাতেই চলে সংসার। সরকার যাতে তার পাশে দাঁড়ায় সেই দাবিও করেছেন তিনি।
কাঁকসার বিজেপি নেতা ভগীরথ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন গরিব দুস্থদের সমস্ত সরকারি পরিষেবা দেওয়ার কথা। কিন্তু আদতে গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছে না। এটা তার একটা জলন্ত উদাহরণ।” জবাবে বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন সূত্রধর বলেন, “আমি এই সমস্যার কথা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত যাতে এই সমস্যার সমাধান করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
